অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


অন্যের তেষ্টা মেটানোর উপর চলে জীবনের চাকা


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ই মে ২০২৩ রাত ০৯:০১

remove_red_eye

২২০

লালমোহন প্রতিনিধি: ১৬ বছরের কিশোর মো. নাঈম। এই বয়সেই বৃদ্ধ বাবা মো. শাহজাহানের কাজে সহযোগিতা করতে হচ্ছে তাকে। তার কাজ হচ্ছে; বাজারের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে টিউবওয়েলের পানি পৌঁছে দেওয়া। এতে করে তেষ্টা মিটে মানুষজনের। আর জীবনজীবিকা চলে তাদের। ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের চরছকিনা এলাকার জামাল খান বাড়িতে বাবা-মা আর এক ভাইয়ের সঙ্গে বাস করে নাঈম।
দেখা যায়, লালমোহন পৌরশহরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাবার পানি সরবরাহ করে কিশোর নাঈম। ভ্যানগাড়িতে করে ১০ টি কলস নিয়ে টিউবওয়েলের পানি পৌঁছে দিচ্ছে বাজারের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে। যার বিনিময়ে সে কলস প্রতি পায় ৮ থেকে ১০ টাকা। এ কাজ মূলত তার বৃদ্ধ বাবা শাহজাহানের। বাবা যখন অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, জীবিকার তাগিদে তখনই হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে পানি পৌঁছানোর দায়িত্ব এসে পড়ে নাঈমের কাঁধে।
কিশোর নাঈম বলেন, চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে আমি সকলের ছোট। অনেক কষ্টে বোনকে বিয়ে দিয়েছি। বাকী ২ ভাই বিয়ে করে সংসার নিয়ে তাদের মতো করে থাকছে। এখন বাবা-মা এবং আরেক ভাইসহ আমিই আছি সংসারে।
নাঈম আরো বলেন, বাবা যখন অসুস্থ্য হয়ে যায় তখন পৌরশহরের বিভিন্ন টিউবওয়েল থেকে কলসে পানি ভরে ভ্যানগাড়িতে করে আমিই মানুষের দোকানে গিয়ে পৌঁছে দেই। প্রতিদিন দেড়শত কলস পানি দিতে পারি। প্রতি কলস পানির বিনিময়ে পাই ৮ থেকে ১০ টাকা। আর সে টাকা দিয়েই কোনো রকমে চলে আমাদের সংসার। এছাড়া, অন্য সময় আমি ডেকারেশনের দোকানে কাজ করি। এর মাধ্যমে কিছু টাকা উপার্জন করে সংসারে দিচ্ছি।





আরও...