অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় মাদক আইনে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ই মে ২০২৩ রাত ০৮:২০

remove_red_eye

২৭৪

মলয় দে: ভোলায় সদর মডেল থানার ২০১৮ সালের মাদক আইনে করা একটি মামলায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ হারুন কে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃত হারুন চরসামাইয়া ইউনিয়নের ০২ নং ওর্য়াড চরছিফলী গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে।দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এএসআই মোঃ তাওহিদ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় তাকে পূর্ব ঘোষিত নগদ অর্থপুরস্কার দেয়া হয়েছে ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন ফকির এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
 জানা যায়,বিগত কয়েক বছর যাবত হারুন বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন।সে সময় তিনি টাইলসের কাজ কওে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় সদর মডেল থানার এএসআই মোঃ তাওহিদের নেতৃত্বে  এএসআই জুয়েল হাওলাদার ও আজিম হোসেনকে সাথে নিয়ে ,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামির নিজ এলাকায় তার বসত ঘর থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।মামলার জি আর নং ৫৬১/১৮ ও সেশন নং ১৪৯/১৯ এমনটাই জানা যায়।গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরে আদালতে পাঠানো হয়।এদিকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পারলেই মিলবে নগদ অর্থ পুরস্কার। পুরস্কারের বিষয়টি ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম এর নির্দেশনায় সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহীন ফকির পুরস্কারের বিষয়টি পূর্বে ঘোষনা করেছিলেন।সেই ঘোষনার ভিত্তিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এএসআই মোঃ তাওহিদ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় তাকে পূর্ব ঘোষিত নগদ অর্থপুরস্কার দেয় ওসি মোঃ শাহীন ফকির।পুরস্কারপ্রাপ্ত অফিসার এএসআই মোঃ তাওহিদ পুরস্কারের বিষয়ে বলেন,এ রকম অসাধারন উদ্যোগ গ্রহন করায় আমি আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয় ও এই মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।এই পদ্বতি অবলম্বনে আমরা যারা রয়েছি আমাদের মধ্যে অনেক উৎসাহ কাজ করছে। যেটি আমাদের কাজের গতিকে আরো প্রসারিত করবে।এ ব্যাপারে তিনি বলেন, জি.আর সাজাটা নিম্পত্তি করাটা অনেক কষ্টসাধ্য বিধায় আমাদের যে সোর্স মানি আছে ,সে সোর্স মানি থেকে আমাদের অফিসার দেরকে ১হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।যাতে সকলের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা থাকে।সাধারন মানুষ ও চৌকিদার যারা আমাদের কে সহযোগীতা করতেছে তাদেকেও আমরা পুরস্কারের আওতায় আনার জন্য আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয় একমত পোষণ করেছেন।এতে সবাই কাঁেধ কাঁধ মিলিয়ে যদি কাজ করি তাহলে বিচার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন সুষ্ঠু ভাবে হবে ও শাস্তিও নিশ্চিত করা যাবে।মূলত এ কারনেই এই পদ্ধতি আমরা অবলম্বন করেছি।