অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সচেতন নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই মে ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:১১

remove_red_eye

১৭৪

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে সমাজের সচেতন নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
‘বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির উদ্যোগে আগামীকাল সোমবার (৮মে) বাংলাদেশে ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন,‘আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই’।
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনবাহিত রোগ, যা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায় এ কথা উল্লেখ করে মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থ্যালাসিমিয়া রোগের বাহক হলে তা জিনগত কারণে সন্তানদের মধ্যে বিস্তার ঘটতে পারে। এ জন্য পুরুষ বা মহিলা এ রোগের বাহক কী-না তা বিবাহপূর্ব পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা জরুরি। 
তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে থ্যালাসেমিয়া জিন বাহক নারী-পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও ভয়াবহ বংশগত রক্ত স্বল্পতার এ রোগটি প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলা খুবই জরুরি। 
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা সম্ভব। এ লক্ষ্যে ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ পালন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল এবং ক্ষেত্রবিশেষ তা জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। 
রাষ্ট্রপতি বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার রোধে বাহকদের মধ্যে এবং আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতাও অবলম্বন করতে হবে। 
তিনি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

সুত্র বাসস





আরও...