অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম সিরিয়া যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩রা মে ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:১৮

remove_red_eye

১৯৩

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু এবং এ দুই মিত্র দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা প্রসারিত হওয়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বুধবার এই প্রথম দামেস্ক সফরে যাচ্ছেন। খবর এএফপি’র।
গত এক যুগ ধরে সংঘাত চলাকালে ইরান সিরিয়াকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে। তেহরান দামেস্ককে তাদের হারানো অঞ্চল ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সিরিয়ার পুনর্গঠনের বিষয়ে ইরানের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরবের সাথে ফের সম্পর্ক গড়ার জন্য ইরানের যুগান্তকারী চুক্তির কয়েক সপ্তাহ পর এবং ইরান ও সিরিয়ার সাথে আঞ্চলিক সম্পর্কের পরিবর্তনের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে কূটনীতির ঝড়ের মধ্যেই তিনি এ সফরে আসছেন।
সিরিয়ার বার্তা সংস্থা সানা জানায়, এ সফর চলাকালে রাইসি ও আসাদ ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, অভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু এবং এ অঞ্চলের ইতিবাচক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন।’
এএফপি’র এক সংবাদদাতা জানান, দামেস্কে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসে কয়েকদিন ধরেই রাইসির এ সফরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে মিশনের সামনে থাকা কংক্রিটের প্রতিবন্ধক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, আসাদের আমন্ত্রণে ইরানের প্রেসিডেন্ট তার দুই দিনের সফরে একটি সিনিয়র ‘অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলের’ নেতৃত্ব দেবেন।
দামেস্ক সফর করা সর্বশেষ ইরানি প্রেসিডেন্ট ছিলেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। তিনি ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে এ সফরে আসেন। এদিকে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রেসিডেন্ট আসাদ আনুষ্ঠানিকভাবে দুইবার তেহরান সফর করেন। ২০২২ সালের মে মাসে তিনি সর্বশেষ ইরান সফর করেন।
দামেস্ক ভিত্তিক বিশ্লেষক ওসামা দানুরা বলেছেন, এই সফর ‘দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।’
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ  পর্যন্ত পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, লাখ লাখ লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং দেশের অবকাঠামো ও শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সুত্র বাসস





আরও...