অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে ঘর পোড়ার ৮ দিন পরেও থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২রা মে ২০২৩ রাত ১১:১৯

remove_red_eye

৩২৭



পুলিশ বলছে কোন অভিযোগ পাইনি


এম ছিদ্দিকুল্লাহ : ভোলার দৌলতখানে ঘরে অগ্নি সংযোগের ঘটনার ৮ দিন পেরিয়ে  গেলেও থানা পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন আবুল কাশেম ফরাজী। বুধবার সকালে ভোলায় সাংবাদিকদের কাছে দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়নগর গ্রামের ফরাজী বাড়ীর আবুল কাশেম ফরাজী এমন অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি আরো অভিযোগ করেন যে দৌলতখান থানা পুলিশ তার মামলা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং উল্টো তার নিজের ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে বলে লিখিত কাগজে স্বীকারোক্তি দিতে চাপ প্রয়োগ করেন পুলিশ।
ভুক্তোভোগী কাশেম ফরাজী লিখিতি অভিযোগে জানান, গত ২৪ এপ্রিল  সোমবার রাতে একই বাড়ীর প্রতিপক্ষ জান্টু ফারাজী তার বসতঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পূর্ব শত্রæতার জের ধরে তার প্রতিপক্ষ তার ঘর পুড়ে দিয়েছে।  এ সময় তিনি আরো জানান, ওইদিন রাতে কাশেম ফরাজীর বাসায় ঈদের অতিথি আসলে তিনি তাদের আপ্যায়ন করে রাতে ঘুমিয়ে গেলে রাত অনুমান সাড়ে ১১ টার দিকে হৈচৈ শব্দ শুনে তিনি জেগে দেখেন যে তার পাকের ঘর, লাকরির ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। পরে এলাকাবাসী এবং ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। কিন্তু এ সময় তার পাকের ঘরসহ বসত ঘরের একাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে তিনি বিষয়টি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু মিয়াকে জানালে, তিনি তাকে দৌলতখান থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তারা মামলা করতে গেলে পুলিশ আবুল কাশেম ফরাজী ঘর পোড়ার বিষয়ে একটি সাধারন ডায়েরী করতে বলে। সহজ সরল আবুল কাশেম ফরাজী কিছু বুঝে উঠার আগেই পুলিশ জিডি ফর্মে তার একটি সই নিয়ে নেন এবং  ২৫ এপ্রিল পুলিশ তদন্তে যাবে বলে তাকে আশ^স্ত করে। কিন্তু পুলিশ এ ঘটনার ৩দিন পর তদন্তে গিয়ে একটি দায়সাড়া তদন্ত করে তার প্রতিপক্ষ জান্টু ফরাজীর ঘরে গিয়ে গোপন বৈঠক করেন বলেও অভিযোগ করে। এ ঘটনার ৮দিন পেরিয়ে গেলেও দৌলতখান থানার পুলিশ মামলার নামে নানা তালবাহানা করে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে বলেও আবুল কাশেম ফরাজী অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুবিচার দাবী করেন ভুক্তভোগী আবুল কাশেম ফরাজী ও তার পরিবারবর্গ। এ ব্যাপারে  বোরহানউদ্দিন ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে অগ্নি নির্বাপন করি কিšুÍ সেখানে কোন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হওয়ার আলামত পাইনি। গ্রাস সিলিন্ডার ও চুলা অক্ষত পাওয়া গেছে। তাছাড়া  সেখানে কোন কোন বৈদ্যুতিক তারের সংযোগও ছিলনা। বাড়ীর মানুষ পেট্্েরালের গন্ধ পেয়েছে বলে  জানিয়েছে তবে অজ্ঞাত কারনে অগ্নিসংযোগ হয়েছে সেটি তদন্ত করলে বেড়িয়ে আসবে।
 এ ব্যাপারে দৌলতখান থানার এস আই দুলাল হোসেন জানান, ২৫ এপ্রিল আবুল কাশেম ফরাজী ঘরপোড়ার বিষয়  থানায় এসে জানায়।  আমি ওসি তদন্ত সত্যরঞ্জনের নির্দেশে ২৭ এপ্্িরল ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরপোড়ার বিষয় সত্যতা পেয়ে ওসি তদন্ত সারকে জানিয়েছি । তবে আমি তাকে কোন কাগজে সই করতে বলিনি। এ ব্যপারে দৌলতখান থানার ওসি জাকির হোসেন জানান, আমি ঘটনা জানি তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। এ বিষয়ে কোন মামলা বা জিডি কিছুই হয়নি।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষ জান্টু ফরাজী জানান, তিনি অগ্নি সংযোগ করেরিনি বরং নিভিয়েছেন। তবে আবুল কাসেম ফরাজি তার সৎ চাচা এবং তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে যা  এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে শালিশ চলমান আছে।