অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৫ | ৩০শে পৌষ ১৪৩১


সরকার আগামী প্রজন্মের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে যেতে চায় : শ্রম প্রতিমন্ত্রী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮শে এপ্রিল ২০২৩ বিকাল ০৫:৫৬

remove_red_eye

১০৪

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার আগামী প্রজন্মের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে যেতে চায়।
আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয় সারা দেশের প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সকল শ্রমিককে ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু করেছে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ইনজুরি স্কিম চালু করেছে এবং শ্রমিকদের সার্বজনীন পেনশন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। 
তিনি বলেন, শ্রমিকদের পেশাগত রোগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা, প্রতিরোধে গবেষণা, মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে রাজশাহীতে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। শিগগিরই এ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম চালু হবে। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ যুগোপযোগী করে সংশোধন করা হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ শ্রম আইন আবারো সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশোধিত এই শ্রম আইন অর্থনৈতিক অঞ্চলেও কার্যকর হবে। ইপিজেড এলাকায় শ্রমিকদের জন্য শ্রম বিধিমালা কার্যকর করা হয়েছে। সরকারের  এসকল কার্যক্রমে শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিত হবে। 
মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘আমরা শ্রমিকদের যে কোন সমস্যার সমাধান, তাদের কল্যাণ এবং জীবনমান উন্নয়নে রাত দিন কাজ করছি। তারপরও কতিপয় শ্রমিক নেতা দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে আইএলওতে অভিযোগ দেন।’ তাদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যেকোন সমস্যা আমাদের জানান, কর্তৃপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ আছে তাদের জানান, শ্রমিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রীকে জানান, শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষায় যে কোন সমস্যার সমাধান করা হবে। অযথা দেশের বিরুদ্ধে আইএলওসহ অন্য কোন সংস্থার কাছে অভিযোগ দেবেন না। দেশের ক্ষতি করবেন না।’
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, কানাডিয়ান হাইকমিশনের হেড অব কো-অপারেশন জো গুডিংস, আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুটিআইনেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির, বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খসরু চৌধুরী,  বিকেএমইএ এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মানসুর আহমেদ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এর আগে সকালে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেলুন আর পায়রা উড়িয়ে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন করেন। র‌্যালিটি বিজয়নগর শ্রম ভবনে শুরু হয়ে পল্টন, জিরো পয়েন্ট দিয়ে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। এবছর অষ্টমবারের মতো “নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় পর্যায়ে দিবসটি পালন করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

সুত্র বাসস