অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


চেয়ারম্যানের উপর হামলা বঞ্চিত দেড় হাজার জেলে


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ই এপ্রিল ২০২৩ রাত ১০:০৪

remove_red_eye

২৩২

লালমোহন প্রতিনিধি: চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দ্বন্দ্বে কপাল পুড়েছে ভোলার লালমোহনের দেড় হাজার জেলে পরিবারের। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্চ-এপ্রিল টানা দুই মাস মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। এসময় জেলেদের পূনর্বাসনের জন্য ভিজিএফ চাল বরাদ্দ থাকলেও লালমোহন ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের জেলেরা কোন চাল পাচ্ছেনা। চেয়ারম্যানের উপর হামলা এবং মামলার ঘটনায় দেড় মাস সময় শেষ হয়ে গেলেও এই ইউনিয়নের ১ হাজার ৪৯৭ জন জেলে সরকারি বরাদ্দের চাল থেকে বঞ্চিত। অথচ গত ফেব্রæয়ারি মাস থেকে শুরু হয়ে চলতি এপ্রিল মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এ চাল বিতরণ সম্পন্ন করার সরকারী নির্দেশনা রয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ সকালে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ জেলেদের মাঝে চালের ¯িøপ বিতরণ করছিলেন। এ সময় ¯িøপ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মেম্বারদের ইন্দনে চেয়ারম্যানের উপর হামলা চালিয়ে তাকে  রক্তাক্ত জখম করা হয়। এতে ইউনিয়নের ৬ জন মেম্বারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনার পর থেকে চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
 লালমোহন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুস জানান, চাল বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০ হাজার পাঁচশত জন জেলের বিপরিতে মাথাপিছু ৪০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য বরাদ্দপত্র দেয়া হয়েছে। শুধু ফরাজগঞ্জ ছাড়া সব ইউনিয়নেই  বিতরণ হয়েছে।

ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ জানান, চাল বিতরণের পরিবেশ নেই। তিনি চাল বিতরণের জন্য ¯িøপ বিতরণ করতে গেলে মেম্বারা লোকজন নিয়ে তার উপর হামলা করে। আবারো হামলা করতে পারে। তাই চাল বিতরণ বন্ধ আছে। তবে প্রশাসনের সহায়তায় তিনি চাল বিতরণ করবেন।

এবিষয়ে ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ নুরে আলম ও শাকিল মোল্লা জানান, চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছামত সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করে নিজেই টোকেন বিতরণ শুরু করেছিলেন। খবর পেয়ে সুবিধা বঞ্চিত জেলেদের সাথে চেয়ারম্যানের বাক বিতন্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। এছাড়া মোতালেব ব্যাপারী নামের এক জেলের কাছ থেকে চালের ¯িøপের বিনিময়ে টাকা দাবি করেন চেয়ারম্যান। ওই ব্যক্তি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করা হয়। এতে মোতালেবের স্বজনরা এসে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা চালান। এ সময় সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত জেলেরাও হামলায় অংশ নেন। এর পর চেয়ারম্যান ঢাকায় চলে যান চিকিৎসা নিতে। তাই চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল গণমাধ্যমকে জানান, দ্রæত চাল বিতরণের জন্য চেয়ারমান-মেম্বারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অচিরেই চাল বিতরণ করা হবে।





আরও...