অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় বাল্য বিয়ের হার শতকরা ৬০.৩ ভাগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩১শে জানুয়ারী ২০২০ রাত ০৩:৪৮

remove_red_eye

১১৯৯



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলায় বাল্য বিয়ে রোধে করনীয় বিষয়ক বড়দের সাথে কিশোর-কিশোরীর সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিসেফের সহায়তায় ও কোস্ট ট্রাস্টের সমন্বিত শিশু বিবাহ প্রতিরোধ কর্মসূচী(আইইসিএম) প্রকল্পের আয়োজনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: মাসুদ আলম ছিদ্দিক।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো: মাহামুদুর রহমান সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আতাউর মিয়া,ইউনিসেফ বরিশাল বিভাগীয় প্রধান এ এইচ তৌফিক আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোস্ট ট্রাস্ট এর সহকারী পরিচালক ফেরদৌউস আরা রুমী,ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা মো: জামিল হোসেন,কোস্ট ট্রাস্ট আইইসিএম প্রকল্পের পিসি মো: মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কিশোর-কিশোরী  জানায়, অভিভাবক এর অসচেতনার ফলে ভোলায় বাল্য বিয়ে রোধ করা যাচ্ছেনা। তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গিয়ে কন্যা সন্তানদের  বাল্য বিয়ে দিচ্ছে। এমনকি ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করে বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে সরকারে যে বাল্য বিয়ে রোধে যে  লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করছে  তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছেনা। তাই বাল্য বিয়ে রোধে সমাজের মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কন্যা শিশুকে মেয়ে হিসাবে না দেখে মানুষ হিসাবে দেখার আহবান জানায়।
উল্লেখ, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ভোলাতে ১৫ বছর এর নিচে বাল্য বিয়ের হার শূন্যর কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য ১৮ বছরের মধ্যে শিশু বিবাহ এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্য অনুযায়ী বাল্য বিয়ের হার জাতীয় পর্যায়ে ৫১.৪%, বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে ৫৫.৬% ও ভোলাতে এই হার বেড়ে গিয়ে দাড়িয়েছে ৬০.৩% ভাগ।