অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পন্ড নয়নসহ আহত ২৫


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৮ই এপ্রিল ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:৫০

remove_red_eye

৩০৬

এইচ আর সুমন : ভোলার মনপুরা উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলা ও ভাংচুরের মুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পÐ হয়ে গেছে। শনিবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদেরকে মারধর করা হয় এবং ভাংচুর করা হয় অবস্থান কর্মসূচিস্থলের চেয়ার টেবিল। এসময় হামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়নসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে আওয়ামী এই হামলার সাথে জড়িত নয় দাবি করে জানায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটতে পারে।
শনিবার দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রাইসুল আলমের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় যুবদল সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন এসব অভিযোগ করেন।
এসময় তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তিনিসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর কয়েক দফা হামলা করেছে। বিএনপি নেতা কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। নয়নের অভিযোগ পুলিশের ছত্রছায়ায় তাদের উপর হামলা করা হলেও পুলিশ বাধা দেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয়  দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপি দেশব্যাপী উপজেলা পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। মনপুরা উপজেলায়ও  শনিবার  বিকাল ৩টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ওই কর্মসূচি পালন হওয়ার কথা ছিল। তিনি সকালে মনপুরা গিয়ে ডাকবাংলোতে অবস্থান করছিলেন। কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সেখানে গিয়ে  মহড়া দিতে শুরু করে এবং ডাকবাংলোর ভিতরে প্রবেশ করে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে হামলাকারীদের  কিছু না বলে উল্টো নয়নকে মনপুরা ত্যাগ করতে চাপ প্রয়োগ করে। এমন পরিস্থিতিতে ডাকবাংলো থেকে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ বিএনপি নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে ডাকবাংলো থেকে জোর করে বের করে নিয়ে আসে। বাংলো থেকে বের হওয়ার পরপরই বিএনপি নেতৃবৃন্দের উপর হামলা করা হয়। পুলিশ তখন নিষ্ক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ করেন নুরুল ইসলাম নয়ন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী বলেন, হামলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে বিএনপির মধ্যে আন্তঃকোন্দল রয়েছে। এক গ্রুপ অপর গ্রুপের উপর হামলা করে থাকতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।