অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিনে মটরসাইকেল চালককে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ই নভেম্বর ২০১৯ সন্ধ্যা ০৭:৫৬

remove_red_eye

৮২৫

বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক || ভোলায় সুদ ব্যবসায়ী স্থানীয়দের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় মোঃ আয়ুব (২৭) নামে এক মটরসাইকেল চালক যুবককে পরিকল্পিতভাবে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনায় পুরো এলাকায় উত্তেজন সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনা এলাকাবাসী প্রতি নিয়ত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে যাচ্ছে। এছাড়াও ঘটনার মূল নায়ক এমরান ও তার পরিবারের সদস্যদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তরমূলক শাস্তির দাবি জানিছেন এলাকাবাসী। ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর কোড়ালমারা গ্রামের ঘটনা। শনিবার বিকেলে তজুমদ্দিনের নতুন বাজার এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
স্থানীয় জমিস উদ্দিন ও মিরাজসহ একাধীক ব্যক্তি জানান, লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোঃ শাহাবুদ্দিন ও তার ছেলে এমরানসহ তাদের পুরো পরিবার কালমা ইউনিয়সহ ও পাশ^বর্তী তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চড়া সুদের উপর টাকা লাগিয়ে আসছিল। তাদের সুদের টাকা দিতে কেউ যদি দেরি করে তাহলে শাহাবুদ্দিন তার ছেলে এমরান ও তাদের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ওই ব্যক্তিকে জোর করে তুলে তাদের তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় একটি গোপন টর্চার সেলে নিয়ে অত্যার ও নির্যাতন করতো। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ অক্টোবর শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর কোড়ালমারা গ্রামের আব্দুল জলিল’র ছেলে ভাড়ায় মটরসাইকেল চালক আয়ুব তার চাচাতো ভাই নতুন বাজার ব্যবসায়ী কামালকে এমরানদের নির্যাতনের প্রতিবাদ স্থানীয় তারেক নামে ছাত্রকে দিয়ে আয়ুবের মটরসাইকেল ভাড়া নেয়। এবং ওই মটরসাইকেলে ১৫ গ্রাম গাঁজা রেখে পুলিশকে খবর দেয় তারা। এবং পরিকল্পিতভাবে তাকে ফাসিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দেয় এমরান ও তার পিতা শাহাবুদ্দিন।
ছাত্র তারেক জানান, আমাকে ওই দিন আয়ুবের মটরসাইকেলটি এমরানের কাছে নিয়ে আসতে বলে। আমি এমরানের কথামত আয়ুবের মটরসাইকেল নিয়ে এমরানের কাছে আসি। তখন এমরান ওই মটরসাইকেলের সামনে যেখানে মটরসাইকেল মোছার জন্য ন্যাকরা কাপড় রাখা হয় সেখানে গাঁজার পোটলা রাখে। তারপর আমাকে বলে আয়ুবকে মটরসাইকেলটি দিয়ে আসতে। আমি দিয়ে আসি। পরে পুলিশ গাঁজাসহ আয়ুবকে আটক করে। অভিযুক্ত এমরান ও তার পিতা সাহাবুদ্দিন জানান, তারা সুদে ব্যবসা করেন। কিন্তু আয়ুবকে তারা কোন গাঁজা দিয়ে ফাঁসাননি।
তজুমদ্দিন থানার ওসি মোঃ ফারুক আহমেদ জানান, আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছি। যদি কোন ব্যক্তিকে ফাঁসানো হয়। তবে দ্রæত এ ঘটনার রহস্য বের হবে এবং জরিতদের বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।