অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরায় মোবাইল কিনে না দেওয়ায় কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩রা এপ্রিল ২০২৩ বিকাল ০৪:৪৪

remove_red_eye

২৬৩

মনপুরা  প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরায় মোবাইল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মা’র ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে এক কলেজ ছাত্র।

সোমবার ভোর ৬ টায় উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সালাউদ্দিনের বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সকাল ১০ টায় লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

এর আগে মনপুরা থানায় একটি ইউডি মামলা হয় বলে নিশ্চিত করেন মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ। যার মামলা নং- ৫।

অভিমানে আতœহত্যা করা কলেজ ছাত্রটি হলেন, উপজেলার সাকুচিয়া আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওমান প্রবাসী মোঃ সালউদ্দিনের ছেলে মোঃ রাব্বি (১৮)।

জানা গেছে, রোববার রাতে কলেজ ছাত্র রাব্বি মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ার জন্য মায়ের কাছে বায়না করে। ওই ছাত্রের মা মোবাইল কিনে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে মা নিজের মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রের বাবা ওমান প্রবাসী সালাউদ্দিনকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করে। পরে মা’র মোবাইল ফোনে ওমান প্রবাসী বাবা ওই ছাত্রকে রাগারাগি করে। পরে ওই ছাত্র রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অভিমান করে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। পরে ছেলেকে খুঁজতে বের হয় মা সহ প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে খোঁজাখুজির পর রাত দেড় টায় বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে গাছের সাথে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রাব্বিকে দেখতে পায়। পরে স্থানীয় চৌকিদার পুলিশেকে জানালে ভোর ৬ টায় পুলিশ ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে লাশের সুতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা জেলা হসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় কলেজ ছাত্রে লাশ উদ্ধার করে সুতহাল রির্পোট শেষে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়। ময়নাতদন্তের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জনান,পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া যায়, কলেজ ছাত্র রাব্বিকে মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়ায় বাবা-মা’র ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে।