অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৫ | ৩০শে পৌষ ১৪৩১


স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমকে অপবিত্র করবেন না : মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতিকর্মীরা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩১শে মার্চ ২০২৩ বিকাল ০৪:৪৭

remove_red_eye

১৭৩

মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু এবং গণমাধ্যমকে অপবিত্র, অসম্মান করবেন না, দেশের মানুষ তা রুখে দেবে' বলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংস্কৃতিকর্মীরা। 
আজ সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'স্বাধীনতা দিবসে শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে তার নামে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে 'দৈনিক প্রথম আলোর দেশবিরোধী স্বাধীনতাবিরোধী অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন' শীর্ষক সমাবেশে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের জননন্দিত কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম বলেন, 'সাংবাদিকতার সাথে রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করবেন না, মানুষকে অসত্য তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকেও অপবিত্র করবেন না। ভালো হবে না। আমাদের মৌলিক বিষয়ের ওপর আঁচড় দিলে সহ্য করা হবে না।  প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো আবার মুখে বাঁশি নেব, কোটি কোটি দেশপ্রেমিক মানুষ স্বাধীনতার সম্মান রাখতে, গণমাধ্যমকে পবিত্র রাখতে ছুটে আসবে।' 
এ সময় উপস্থিত দেশের প্রায় সব টিভি চ্যানেল এবং সংবাদপত্র ও অনলাইন মাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, 'সাংবাদিকেরা চক্রান্ত্রকারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হবেন না। সাংবাদিকতা পবিত্র পেশা, মিথ্যা নয় ঠিক সংবাদ পরিবেশন করুন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না।'
একুশে পদকে ভূষিত স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের জননন্দিত কন্ঠশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, 'স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রথম আলো পত্রিকার দায়ীদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা সমাজের সবার পক্ষ থেকে এই দেশবিরোধী মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ডা. অরূপ রতন চৌধুরী তার বক্তৃতায় বলেন, 'জাতিকে হেয় এবং বিভ্রান্তকারী হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সম্মান বজায় রাখতে সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী চক্রান্ত সাংবাদিকরাও মেনে নেবে না, কোনো মানুষই মেনে নেবে না। আইন অনুযায়ীই এ ধরনের অপরাধের বিচার হবে।'
স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় পরিষদ সভাপতি জিন্নাত আলী জিন্না, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, সৌদি আরব আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আনিসুর রহমান, অভিনয় শিল্পী তানভীন সুইটি, দোলাসহ সংগঠনের সদস্যদের সাথে মুক্তিযোদ্ধারাসহ বিভিন্ন পেশাজীবি, শিক্ষক, ছাত্ররা মানববন্ধনে স্বাধীনতা ও সাংবাদিকতার সম্মান বজায় রাখা ও অপসাংবাদিকতার দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনে যোগ দেন।

সুত্র বাসস