অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ১৩ই জানুয়ারী ২০২৫ | ২৯শে পৌষ ১৪৩১


আগামী সপ্তাহে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে বিশেষ ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭শে মার্চ ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:৩৭

remove_red_eye

৩১৩

বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামী সপ্তাহে পদ্মা সেতুর মাওয়া-ভাঙ্গা সংযোগ রেলপথে একটি বিশেষ ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পরিকল্পনা করছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন আজ বাসস’কে বলেন, আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে। তিনি বলেন, এর আগে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথে একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছিল। আফজাল বলেন, ‘প্রকল্পটি জুন, ২০২৪ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। আমরা ইতিমধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। রেল সংযোগ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’ তিনি বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন দিয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ দেবে।  চীন সরকার মনোনীত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড চায়না জিটুজি সিস্টেমের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পর, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলার নতুন এলাকা জুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা-যশোর-খুলনার মধ্যে ২১২.০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট এবং উন্নত পরিচালন সুবিধার বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপিত হবে। এটি বাংলাদেশে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি সাব-রুট স্থাপন এবং  জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মালবাহী এবং বিজি কন্টেননার ট্রেন পরিষেবা চালু করবে।  এই রুটটি কন্টেইনার পরিবহনের ক্ষেত্রে গতি এবং লোড সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে। সরকার ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ঢাকা  থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের অনুমোদন দেয় এবং এটি একটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।

সুত্র বাসস