অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


উ. কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উৎসাহিত করায় মস্কোকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১শে মার্চ ২০২৩ বিকাল ০৫:০০

remove_red_eye

২০৮

উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উৎসাহিত করায় যুক্তরাষ্ট্র সোমবার চীন ও রাশিয়াকে দায়ী করেছে। এই বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যর্থ করে দেওয়ায় তাদেরকে দায়ী করা হয়। খবর এএফপি’র।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ‘ভাল বিশ্বাসের কূটনীতিতে সম্পৃক্ত হতে’ অস্বীকার করায় বেইজিং ও মস্কোর নিন্দা করেন এবং তিনি অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, তাদের ‘নিরাপত্তা পরিষদে বাধাদান উত্তর কোরিয়াকে দায়মুক্তির সাথে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উৎসাহিত করে।’
উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া (ডিপিআরকে) ব্যবহার করে থমাস-গ্রিনফিল্ড নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে জানতে চান, ‘চীন ও রাশিয়া ডিপিআরকে শাসনকে রক্ষা করা বন্ধের আগে দেশটিকে কতবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করতে হবে?’
গত মে মাসে চীন ও রাশিয়া পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবে ভেটো দেয়।
উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা পরিষদ এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
নিরাপত্তা পরিষদ সর্বশেষ ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক পরীক্ষার পর পিয়ংইয়ংয়ের ওপর তিন দফা কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার তিনটি সর্বসম্মত প্রস্তাবের নেতৃত্ব দিয়েছিল।
সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ ্পরিষদের নয়জন সদস্য ‘বহু সংখ্যক’ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা করে বলেছে, এমন ‘ক্রমবর্ধমান সঙ্কট শুধুমাত্র এই অঞ্চলকেই নয়, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’
এদিকে চীন ও রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের দায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে ওয়াশিংটনের যৌথ সামরিক মহড়াই দায়ী।

সুত্র বাসস





আরও...