এ আর সোহেব চৌধুরী চরফ্যাশন থেকে: চরফ্যাশনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহীনদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে চতুর্থ পর্যায়ে ৬০ টি এবং তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩০ টি ঘর নির্মাণ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের এ ঘর পেয়ে ৯০টি পরিবারের চোখে মুখে এখন আনন্দের জোয়ার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান এর তত্ত্বাবধানে এ ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২২ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের জন্য ইতিমধ্যে এ ঘরগুলোর বিপরীতে কবুলিয়ত ও নামজারি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহীনদের পুনর্বাসনের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০ টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬০ টি এবং তৃতীয় পর্যায়ের ৩৪০ টি ঘরের মধ্যে ৩১০ টি সহ সর্বমোট ৪০০ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের এ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম জানান, আগামী ২২ তারিখে হস্তান্তরযোগ্য এসব বাসগৃহে থাকবে দুইটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি বারান্দা ও একটি টয়লেট। এছাড়াও প্রতি ১০ টি গৃহের জন্য থাকবে একটি করে নলকূপ। ইতিমধ্যে প্রতিটি ঘর বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছে, তাদেরকে আনা হয়েছে সমবায় সমিতির আওতায়। ফলে বাসস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও তৈরি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্লাস্টার ভিত্তিক এসব গৃহসমূহ গ্রথ সেন্টারের পাশে অবস্থিত। আছে যাতায়াতের জন্য পাকা রাস্তা। কাছেই রয়েছে মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে খুব সহজেই সকল ঘরের বাসিন্দাদের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে।
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী অফিসার আল নোমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় সারাদেশে কোন ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। তারই ধারাবাহিকতায় এ উপজেলায় ইতোমধ্যে ৪০০ জন ভূমিহীন ও গৃহীনদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ আরো ৯০ টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিববর্ষের ঘর হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে সেখানে সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভোলা- ৪ আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব ও অসহায় মানুষের কথা ভাবেন। তাদের উন্নতি ও মঙ্গলের জন্য তিনি সব সময় চিন্তা করেন। তার নেতৃত্বে সারাদেশকে ভূমিহীন ও গৃহীনদের পুনর্বাসনের জন্য প্রশাসন নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সমাজের এসব পিছিয়ে পড়া লোকজনদের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় যুক্ত করার মধ্য দিয়েই ২০৪১ সালের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে।