অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


“ভাইয়া আমাকে বাঁচান, আমার বাবা-মা জোড় করে আমাকে বিয়ে দিতে চাইছে”


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ই নভেম্বর ২০১৯ রাত ০৮:১১

remove_red_eye

৮৬৯

লালমোহন প্রতিনিধি || “ভাইয়া আমাকে বাঁচান, আমার বাবা-মা জোড় করে আমাকে বিয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু আমি পড়া লেখা করতে চাই” – মোবাইল ফোনে এমন আকুতির কথা লালমোহন প্রেসক্লাব সম্পাদক জসিম জনির কাছে জানালেন নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। লালমোহন সদর ইউনিয়নের ফুল বাগিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। ফোনে আরো জানালো, তার বাবা-মা তাকে অনেকদিন পর্যন্ত স্কুলেও যেতে দিচ্ছে না।
লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবীরকে এমন ফোনের কথা জানালে তিনি সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। ওসির হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেণির ওই স্কুল ছাত্রী। উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাস্তার মাথা এলাকায় ছাত্রীর বাড়ি। বাবা দুলাল কৃষি কাজ করে। ওসি ওই ছাত্রীর বাবা ও মাকে মেয়ের প্রাপ্ত বয়স না হতে বিয়ে না দিতে সর্তক করে দেন। পরে তারা ওসিকে ওয়াদা দেন প্রাপ্ত বয়স না হতে মেয়েকে বিয়ে দিবে না।
ওসি মীর খায়রুল কবীর বলেন, ফুলবাগিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে দেয়ার কথাবার্তা বলছে তার পরিবার। ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মাকে প্রাপ্ত বয়স না হতে মেয়েকে বিয়ে না দিতে সর্তক করা হয়। এছাড়াও ওই ছাত্রীর অধ্যায়নরত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেও মেয়েটির পড়ালেখায় বিশেষ সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।