অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


বৈশ্বিক পানি সংকট নিয়ে জাতিসংঘের ব্যতিক্রমী সম্মেলন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০শে মার্চ ২০২৩ বিকাল ০৪:০৪

remove_red_eye

২৪৪

বিশ্বের কোথাও পানি ঘাটতি, কোথাও অতিরিক্ত, আবার কোথাও দূষণ অথবা পানি নিয়ে সমস্যা। 
বিশ্বজুড়ে পানি সংকটের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত ছিল। যদিও এর সাথে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কল্যাণ জড়িত। আশার কথা দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ এ সংকট মোকাবেলায় ব্যতিক্রমী এক সম্মেলনের আয়োজন করছে। 
নেদারল্যান্ডসের পানি বিষয়ক বিশেষ দূত হেংক ওভিংক বলেছেন, ‘গত ৪৬ বছরের মধ্যে এ প্রথম বিশ্ব পানি ইস্যুতে একত্রিত হচ্ছে। তাজিকিস্তানকে সাথে নিয়ে দেশটি জাতিসংঘ পানি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে।’ 
আগামী ২২ থেকে ২৪ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে এই সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে। 
আয়োজক পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সম্মেলনের প্রাথমিক লক্ষ্য বৈশ্বিক পানি সংকট নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং পানি সম্পর্কিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ অর্জনে আন্তর্জাতিকভাবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। 
সম্মেলনকে সামনে রেখে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘জাতিসংঘ পানি সম্মেলন ২০২৩’-এ অবশ্যই জোরালো ‘ওয়াটার অ্যাকশন এজেন্ডা’ গ্রহণ করতে হবে। 
ওয়াটার কনফারেন্সের সহ-আয়োজক নেদারল্যান্ডস এবং তাজিকিস্তানের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২০২২ সালের জুলাইয়ে পানি সম্মেলনের পাঁচটি থিম নির্ধারণ করা হয়। পরে ওই বছরের অক্টোবরে প্রস্তুতিমূলক সভায় জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো এতে সম্মতি দেয়।
জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের ২শ’ ৩০ কোটি লোক আজ পানি সংকটে ভুগছে। ২০২০ সালে ২শ’ কোটি লোকের খাবার পানির সংকট ছিল, ৩শ’ ৬০ কোটি লোকের বাড়িতে কোন টয়লেট ছিল না এবং ২শ’ ৩০ কোটি লোকের বাড়িতে হাত ধোয়ারও ব্যবস্থা ছিল না। 
স্যানিটারি ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে লোকজন অতি সহজেই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
এ সকল প্রেক্ষিত ২০১৫ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশ দূরের বিষয়। এ লক্ষ্যমাত্রায় ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্যে পানি ও স্যানিটেশান সুবিধা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। 
জাতিসংঘের এ সম্মেলনে তথাকথিত ওয়াটার অ্যাকশান এজেন্ডার জন্যে প্রস্তাব উপস্থাপনে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্ট লোকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সুত্র বাসস





আরও...