অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার মেঘনা নদীর তীরে ব্যাতিক্রমী জেলে উৎসবে মানুষের ঢল


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭ই মার্চ ২০২৩ রাত ০৮:১৯

remove_red_eye

৪৯৭

হাসিব রহমান: ভোলার দক্ষিনের তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনার তীর। শুক্রবার সকাল থেকে মেঘনার তীরের ¯øুইজ গেইট এলাকায় সাজ সাজ রব। বিশাল প্যান্ডেল। বিভিন্ন রংয়ের পতাকায় সাজানো। চার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভোলা ৩ আসনের সংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী ছবি সম্বলিত প্লার্কাড। কয়েক হাজার মানুষের ভিন্নধর্মী এক আনন্দঘন  উৎসব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে মেঘনার তীরে দুই দিন ব্যাপী  জেলে ব্যাতীক্রমী উৎসব শুরু হয়েছে। সকাল থেকে জেলে পল্লীর কয়েক হাজার মানুষের ঢল নামে এই উৎসবে। সকাল ১১ টায় এই উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভোলা -৩ আসনরে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। কোরআন তেলোয়াতের পর জেলে পরিবারের শিশুদের নিয়ে কেক কাটেন এমপি শাওন। এরপর আলোচনা শেষে দুপুরে উৎসবে আসা সকল জেলে পরিবারের সদস্যদের মধ্য খাবার বিতরণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, এই উৎসবে প্রায় ১০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন দুলাল, তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মরিয়ম বেগম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর বেগম শিলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর, চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল্যাহ কিরণ, মৎস্যজীবী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাশেম মহাজন প্রমূখ। মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে শুরু হয় মহিলাদের  হাড়ি ভাঙ্গা, কাবাডি খেলা, কলা গাছ বেয়ে উঠা, ঘুড়ি উড়ানোসহ গ্রামীণ খেলা ধুলা।  এতে জেলে পরিারের সদস্যরা অংশ নেয়।  বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন ভোলা ৩ আসনের সংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। সন্ধ্যায় শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশ বরোন্য শিল্পীরা মনোমুগ্ধগকর পরিবেশনায় মঞ্চমাতিয়ে তুলেণ। উৎসবে আসা জেলে রুবেল জানান, তার বাড়ি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে। মাছ ধরার উপরই তার জীবন জীবিকা চলে। নদীতে ২ মাস মাছ ধরা বন্ধ। তাই অলস সময় পার করে ছিলেন। এই সময় জেলেদের নিয়ে ব্যাতি ক্রমি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে তারা খুবই খুশি।  তার মতো বহু পরিবার এসেছেন এই উৎসবে। শুধু জেলে নয় স্থানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরাও এতে অংশ নিয়ে ব্যাক্রিমী আনন্দ আয়োজনে দিন পার করেন।