অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


দৌলতখানে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ , দপ্তরি জেল হাজতে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯শে জানুয়ারী ২০২০ রাত ০২:৫৯

remove_red_eye

১৬৮২



দৌলতখান প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখানে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিমের ডাক্তারী পরিক্ষা শেষে ধর্ষক বাছেদকে (২২) গত শুক্রবার ভোলা জেল হাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।

বাছেদ দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চরশুভী গ্রামের শাহ আলম মাঝির ছেলে। সে ৪৬ নং কালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরি।

স্থানীসূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় দপ্তরি বাছেদ তার বিদ্যালয়ের ৩য় তলায় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এসময় স্থানীয়রা তাদের হাতে-নাতে ধরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

 শনিবার (১৮জানুয়ারি) দুপুরে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে দপ্তরি বাছেদ আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসতো। এতে আমি রাজি ছিলাম না। ঘটনার সময় বৃহ¯পতিবার সন্ধ্যায় আমাকে ঘরের অঙ্গীনা থেকে  মুখ চেপে ওই বিদ্যালয়ের ৩য় তলায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষিতার বাবা জানান, জীবন-জীবিকার  নির্বাহের জন্য আমি শ্রমিকের কাজ করি। দুদিন পূর্বে আমি বাড়িতে এসেছি। আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে এর সঠিক বিচার চাই। একই মত পোষন করেছেন মেয়ের মা।

এঘটনায় ৪৬ নং কালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসান মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ফোনে জানানো হয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোতাহার  বেপারী জানান, বাছেদ আমার বিদ্যালয়ের একজন দপ্তরি। স্থানীয় লোকজন তাদের হাতেনাতে আটক করলে সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর থানা থেকে পুলিশ আসে। বাছেদ এর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে এই ধরণের একাধিক মেয়েলি ঘটনার অভিযোগ রয়েছে।

দৌলতখান থানার ওসি তদন্ত মো: সাদিকুর রহমান জানান, এঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরিক্ষা সম্পন্ন করে ধর্ষক বাছেদকে জেল হাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।