অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


১৭ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো গেল না মিরাজকে


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১১ই মার্চ ২০২৩ রাত ১০:১৮

remove_red_eye

২৬৪



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ১৭ ব্যাগ রক্ত শরীরে প্রবেশ করেও বাঁচানো গেল না মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হওয়া মিরাজকে। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে জীবনের সঙ্গে বাঁচার লড়াই করে ১১ দিন পর শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁর মৃত্যু হয়।
মিরাজের বড় ভাই মো. পারভেজ হোসেন তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিরাজ ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে ছিলেন। তাঁর চার মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ইলিশা জংশন বাজারে অবস্থিত তাঁর ভাইয়ের একটি ঔষধের ফার্মেসি রয়েছে। মিরাজ সেই ফার্মেসিতে কাজ করতেন।
তাঁর মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনরা ফেসবুকে তাঁর ছবি পোষ্ট করে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। তাঁর বন্ধু ও সহপাঠীরা বাঁধভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মিরাজের বড় ভাই মো. পারভেজ হোসেন জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে জংশন বাজারের ফার্মেসি থেকে মোটরসাইকেল যোগে মিরাজ বাড়ি ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলটি ইলিশা কালাম মেম্বারের পোল সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে একটি পণ্যবাহী ট্রাক ওভার করার সময় দ্রুতগামী ওই ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে তাঁর ডান পা মারাত্মক জখম হয়। পায়ের রান থেকে শুরু করে পায়ের পাতা পর্যন্ত মাংস ওঠে যায়। দ্রুত তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই লঞ্চযোগে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাকে পঙ্গু হাসপাতাল রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই আজ বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। ঢামেক থেকে তাঁর লাশ ভোলায় নিয়ে আসা হচ্ছে। আগামীকাল তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।





আরও...