অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


ভোলা লক্ষী গোবিন্দ মন্দিরের কমিটি নিয়ে দুই গ্রুপের উত্তেজনা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮ই জানুয়ারী ২০২০ রাত ০৩:১০

remove_red_eye

৭১২



বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা  জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী  লক্ষীগোবিন্দ  মন্দিরের কমিটি গঠন নিয়ে  শুক্রবার দুপুরে দুই গ্রুপের উত্তেজনা ও হাতাহাতির মুখে পন্ড হয়ে যায়  আহবায়ক কমিটির  সমাবেশ। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। একই সঙ্গে তাৎক্ষনিক সভা ও সমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।  সভাপতি প্রার্থী শিবু কর্মকার ও সাবেক কমিটির সভাপতি সমীর দাস গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
শিবু কর্মকার জানান , আগের কমিটির সভাপতির চাল চুরি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৫ মাস আগে ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে ৯ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ৩ মাসের মধ্যে কমিটি করতে না পারায় আহবায়ক কমিটির কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে শুক্রবার একটি সাধারন সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য   তলবি সভা আহবান করেন শিবু কর্মকার। অপরদিকে আহবায়ক কমিটি একই দিন একই সময়ে কমিটি গঠনের জন্য মন্দিরের সদস্য নন এমন সব ব্যক্তিদের উপস্থিত রেখে পাল্টা সভা আহবান করেন। সংগঠন বিরোধী আয়োজনের প্রতিবাদ জানান, শিবু কর্মকার গ্রæপ। অপরদিকে আহবায়ক কমিটির পক্ষে অবস্থান নেন, সাবেক কমিটির সভাপতি সমীর দাস গ্রæপ।  সমীর দাসের দাবি শিবু কর্মকার যে বক্তব্য দেন তা সঠিক নয়। তার বক্তেব্য উপস্থিত সদস্যরা মেনে নিতে পারেন নি। এ কারনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিবু কর্মকারের অভিযোগ মন্দিরের নিয়মিত চাঁদা পরিশোধ করেন এমন সদস্য রয়েছেন ৬৯ জন। ফলে এদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।  আহবায়ক কমিটির দায়িত্বে থাকা অবস্থায়  কাউকে না জানিয়ে সাবেক কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত আরো ৩০  জনকে সদস্য করেন। যা নিয়ম বহির্ভূত। আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রাণ গোপাল দে জানান, অতিরিক্ত ৩০ সদস্য করার বিষয়টি তারাও জানতেন না। তার পরেও মেনে নিয়ে শুক্রবার কমিটি গঠনের জন্য মাইকিং করে সভা আহবান করা হয়। এতে মন্দিরের নিয়মিত সদস্য ছাড়াও সব শ্রেনির ভক্তদের উপস্থিত থেকে মতামত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয় । শিবু কর্মকার গ্রুপের কারনে সভা পন্ড হয় বলে জানান প্রাণ গোপাল। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রফেসর দুলাল চন্দ্র ঘোষ, সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে জানান, কোন মন্দিরের কমিটি গঠনে তাদের কাছ থেকে  অনুমতি নেয়া ও অতিথি হিসেবে তাদের উপস্থিত থাকার জন্য  আমন্ত্রন জানানো হয়। অথচ ওই মন্দিরের বিষয় তারা কিছুই জানতেন না। ভারপ্রাপ্ত ওসি মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান, বড় ধরনের সংঘাত এড়াতে উভয় পক্ষের সভা বন্ধ রাখা হয়।


ভোলা



আরও...