অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


মনপুরার মেঘনায় অভয়াশ্রমে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২রা মার্চ ২০২৩ রাত ১০:০৯

remove_red_eye

২৯৬

আবদুল্লাহ পাটোয়ারী জুয়েল ,মনপুরা: ভোলার মনপুরার মেঘনায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে অসাধু জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি, চরঘেরা, কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে জাটকা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করছে। আর এই সমস্ত জাটকা সহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ প্রকাশ্যে হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
অভয়শ্রামে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করায় ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তারে বড় বাঁধা মনে করছেন ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান। তিনি মনে করেন, দ্রæত মেঘনা থেকে নিষিদ্ধ জাল অপসারন করে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের বংশ বিস্তারে স্থানীয় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

এদিকে প্রভাবশালী মহল স্থানীয় মৎস্য প্রশাসন ম্যানেজ করে মেঘনায় অবাধে মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইলিশ জেলেরা। জেলেরা জানান, প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় অসাধু জেলেরা প্রকাশ্যে জাটকা সহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ শিকার করে হাট-বাজারে বিক্রি করছে।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ইলিশ সহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তার ও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস ভোলার ইলিশা থেকে মনপুরা চরপিয়াল পর্যন্ত মেঘনায় ১৮০ কি.মি. এলাকা অভয়াশ্রম ঘোষনা করে সরকার। এই সময় মেঘনার ১৮০ কিলোমিটার এলাকায় সম্পূর্নভাবে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মনপুরার মেঘনায় হাজিরহাট ল্যান্ডিং স্টেশন থেতে চরপিয়াল পর্যন্ত অভয়শ্রামে প্রভাবশালীদের ইন্ধনে অসাধু জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি, চরঘেরা, কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে। সরকার ঘোষিত মেঘনার অভয়শ্রাম জুড়ে বেহুন্দি জালে ঘেরা। অবাধে শিকার করছে জেলেরা, প্রশাসন দেখে ও না দেখার ভান করছে।

এই ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন জানান, অভিযানের সময় পদে পদে বাঁধার সম্মুখীন হই। তারপরও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান। তিনি ম্যানেজ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জানেন না বলে জানান।

এই ব্যাপারে মনপুরা কোস্টগার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার মোঃ হাকিম জানান, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মনপুরার চারপাশে মেঘনা, একপাশে অভিযান চললে অন্যপাশে দেওয়া যায় না। এই সুবিধাটা নিচ্ছে অসাধু জেলেরা।

এই ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা চরফ্যাসন উপজেলার নির্বাহী অফিসার আল নোমান জানান, বিষয়টি দেখছি। তাছাড়াও সরকার মৎস্য কর্মকর্তাকে অভিযান দিয়ে জেল-জরিমানা করার পাওয়ার দিয়েছে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখারও নির্দেশনা দিচ্ছি।