অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


ইভ্যালির কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ই ডিসেম্বর ২০২২ সকাল ১১:০৮

remove_red_eye

২৯৭

লাখ লাখ গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে ইভ্যালি। ই-কমার্স প্ল্যাটফরম ইভ্যালির পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের তালিকা এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।  

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেল গত সপ্তাহে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জনিয়েছেন।

 

সূত্র জানায়, ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা শামীমা নাসরিন জেল থেকে জামিন পাওয়ার পর গত সেপ্টেম্বরে ধসে পড়া অনলাইন প্ল্যাটফরম ইভ্যালির হাল ধরেন। এরপর তিনি একটি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন, এসময় তিনি কর্তৃপক্ষকে প্রতিশ্রুতি দেন যে তাদের ব্যবসা আবার শুরু করার সুযোগ দেওয়া হলে তাদের হাজার হাজার গ্রাহক এবং ব্যবসায়ীদের সমস্ত ক্ষতিপূরণ দেবে।

সংস্থাদের একটি বিশেষ অডিট রিপোর্ট অনুসারে, ইভ্যালির গুদামগুলোতে এখন ২৫ কোটি টাকার পণ্য মজুদ রয়েছে এবং প্রায় ২৮ কোটি টাকা অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে আছে।

শামীমা নাসরিনকে ইভ‌্যালির চেয়ারম্যান এবং তার পরিবারের দুই সদস্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুই জন প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে একটি নতুন বোর্ড গঠন করা হয়। নতুন বোর্ড একটি সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবসায়ীক মডেলের মাধ্যমে ব্যবসাকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে কোনো লোকসান বহনকারী ছাড় নয় এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনো অগ্রিম নেওয়া হবে না।

 

এর আগে গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান ইভ্যালির শামীমা নাসরিনকে কোম্পানির কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য একটি রোডম্যাপ জমা দিতে বলেন।

সূত্র জানায়, শামীমা নাসরিন ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার স্বামী মোহাম্মদ রাসেলের জামিন নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। অতিরিক্ত সচিব এবং সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স  সেলের প্রধান বলেছেন যে তারা তার স্বামীকে জামিন নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারবে না, কারণ এটি একটি বিচারিক বিষয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে শামীমা নাসরিন ইভ্যালির ৪৫ লাখ গ্রাহক এবং ৩০ হাজার ব্যবসায়ীদের প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ক্রয়-বিক্রয় শুরুর জন্য অনুরোধ করেন। তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুরানো সার্ভারের পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করার মাধ্যমে বা একটি নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আবার পণ‌্য বিক্রির কাজ শুরু করার ইচ্ছের কথা জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছে।

 

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইভ্যালির কার্যক্রম চালু করা এখন অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। এটি একটি বড় সমস্যা। পাশাপাশি লাখ লাখ গ্রাহকদের বিপুল পরিমান অর্থ আটকে আছে। এটাও এবটি মানবিক বিষয়। মন্ত্রণালয় থেকে যে সব বিষয় চাওয়া হয়েছে সেগুলো পাওয়ার পর পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাজ চলছে।