অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


পিপলস লিজিংয়ের আমানতকারীদের টাকা শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০শে নভেম্বর ২০২২ দুপুর ১২:২৫

remove_red_eye

৩৩৫

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার বলেছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে আমার প্রতিষ্ঠান পুনরায় দৌড় শুরু করবে। যে প্রতিষ্ঠান ৫ বছর ধরে লুট করা হয়েছে, সেটি রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আমানতকারীরা চাইলে তাদের টাকা শেয়ারে রূপান্তর করতে পারবেন।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন তিনি।

 

আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার বলেন, ইতোমধ্যেই প্রায় ১০০ কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছে। আগামী বছর টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে। ২০২৩ সালের মধ্যে এক হাজারের বেশি গ্রাহকের টাকা পুরোপুরিভাবে ফেরত দিতে পারব। আমরা ৩৪টি বৈঠক করতে সক্ষম হয়েছি। একই সঙ্গে বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি আবার সচল হবে।

তিনি আরও বলেন, বড় বড় ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ছোট-বড় মিলিয়ে এই মামলার সংখ্যা ৩৫০টি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তারা ধীরে ধীরে টাকাও ফেরত দিচ্ছে। কিন্তু, সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অনেক ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত জামানত নেই। ফলে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

আলোচনায় উপস্থিত আমানতকারীরা বলেন, পিপলস লিজিংয়ের বর্তমান যে অবস্থা এর জন্য শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক দায়ী। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি প্রথম থেকে পিপলস লিজিংসহ অন্যান্য ফাইন্যান্সিয়াল সংস্থাগুলোকে সঠিকভাবে দেখাশোনা করত, তাহলে এই সোনার বাংলাদেশে বর্তমানে যে অর্থনৈতিক মহামারী চলছে তা কিছুতেই হতো না। আমাদেরকেও দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হতো না।

 

তারা আরও বলেন, আমাদেরকে কেন করুণভাবে টাকা চাইতে হবে? আমরা তো আমাদের টাকাটা ফেরত চাই। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোনীত এবং রেজিস্ট্রেশনকৃত সফল একটি প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখেছিলাম। কোনোরকম নিয়মনীতি না মেনে সেই কোম্পানি কিভাবে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যেতে পারে? আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইনে আছে, আমানতকারীদেরকে জানাতে হবে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে। অথচ কোনোরকম বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়নি। এমনকি চিঠিপত্র দিয়েও জানানো হয়নি।