অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


কম্বোডিয়ায় লাও পিডিআর-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মোমেনের সাক্ষাৎ


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ই আগস্ট ২০২২ রাত ০৯:৩৭

remove_red_eye

২৭৫

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ কম্বোডিয়ায় লাও পিডিআরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালেউমক্সে কোমাসিথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে বিষদ পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকে মোমেন লাও পিডিআরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চল, কৃষি ও আইসিটি খাতে অগ্রাধিকার খাতে বিনিযয়োগের আমন্ত্রণ জানান। তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি করতে নিয়মিত বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ও বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রস্তাব বিনিময়ের প্রস্তাব করেন, যা উভয় দেশের জন্য অপরিহার্য। মোমেন লাও পিডিআর-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগণকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন শুরুর করার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান আনতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি লাও পিডিআরকে মিয়ানমারের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য তার বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভাব প্রয়োগ করার অনুরোধ করেন।
অন্যদিকে গত এক দশকে বাংলাদেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে লাও পিডিআর-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে তার দৃঢ় ইচ্ছা প্রকাশ করেন। উভয় মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন এবং লাও পিডিআর-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন গতকাল নমপেনে কম্বোডিয়ার সিনিয়র মিনিস্টার এবং স্পেশাল মিশনের (ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স) ইনচার্জ ওকনহা দাতুক ড. ওসমান হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে মোমেন মন্ত্রীকে বাংলাদেশের উদার, মধ্যপন্থী ও সহনশীল ধর্মীয় জীবনধারার দীর্ঘ দিনের প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্য সম্পর্কে অবহিত করেন, যা বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের অসাম্প্রদায়িক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ তরান্বিত করেছে। তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মূলমন্ত্র। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন নিবেদিতপ্রাণ মুসলমান ছিলেন এবং তিনি বহু ইসলামিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
দুই মন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষি, জলজ চাষ ও মৎস্য, যুব ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

সুত্র বাসস