অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


মুসলমানদের বাড়িঘর ভেঙ্গে দেওয়ার বিরোধিতায় সরব সাবেক বিচারপতিরা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ই জুন ২০২২ রাত ০৯:৩৯

remove_red_eye

৩৭৭

ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথের বিতর্কিত ‘বুলডোজার রাজনীতি’র বিরোধিতায় সরব হয়েছেন দেশটির অবসরপ্রাপ্ত ছয় বিচারপতি ও ছয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। ইসলামের নবীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মুসলমানদের বাড়িঘর বুলডোজ দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘বিচারবর্হিভূত সমষ্টিগত শাস্তি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

বেছে বেছে মুসলিম নাগরিকদের সহিংসতায় অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করে তাদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘সংবিধানের প্রহসন’ বলে চিঠিতে চিহ্নিত করেছেন তারা।

 

তারা লিখেছেন, ‘একটি শাসক প্রশাসনের এই ধরনের নৃশংস দমন-পীড়ন আইনের শাসনের অগ্রহণযোগ্য বিপর্যয় ও নাগরিকদের অধিকারের লঙ্ঘন এবং সংবিধান ও রাজ্যের নিশ্চিত করা মৌলিক অধিকারগুলোর প্রতি উপহাস করে।’

সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি  বি সুদর্শন রেড্ডি, ভি গোপাল গৌড়া এবং এ কে গাঙ্গুলী, দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এপি শাহ এবং হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি কে চন্দ্রু (মাদ্রাজ) এবং মোহাম্মদ আনোয়ার (কর্নাটক) চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।  স্বাক্ষরকারী অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন আইনমন্ত্রী শান্তি ভূষণ, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ, অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিং, শ্রীরাম পঞ্চু, সিইউ সিং এবং আনন্দ গ্রোভার।

ইসলামের নবীকে নিয়ে কটুক্তির কারণে গত সপ্তাহে ১৫টি মুসলিম দেশের প্রবল চাপের মুখে পড়ে বিজেপি সরকার। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দলের মুখপাত্র নুপুর শর্মাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এরপরও বিজেপির একাংশের নেতা ও সমর্থকরা দলের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে। 

 

গত শুক্রবার উত্তর প্রদেশে নুপুর শর্মার গ্রেপ্তার দাবিতে মুসলমানদের বিক্ষোভের পরপর ‘বুলডোজার রাজনীতি’ শুরু করে যোগি আদিত্যনাথ সরকার। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ইতোমধ্যে তিন শতাধিক মুসলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে যোগি। ইতোমধ্যে কয়েক জনের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়েও দেওয়া হয়েছে।

 





আরও...