বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫শে মে ২০২১ রাত ১০:৩৬
৭২৫
মনপুরায় পাউবোর’র পুরাতন বাঁধে ভাঙ্গন চরফ্যাসনের ঢাল চরে ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত
বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দ্বীপজেলা ভোলায় থেমে থেমে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস বয়ে গেছে। মঙ্গলবার সকালে ভোলার চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলার নিন্মাঞ্চলে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। ঢাল চরে ২৫ ঘর সম্পূর্ন বিধ্বস্ত। এছাড়াও মনপুরাতে হাজির হাট ইউনিয়নের ভাউল বাড়ি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুরাতন বেড়ি বাঁধের প্রায় ৬ মিটার ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বঙ্গপোসাগর মোহনার ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, মঙ্গলবার সকালে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে করে প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। কিন্তু ঢাল চরে কোন আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় সাধারণ মানুষ পড়ে বিপাকে। সেখানে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও কোস্টট্রাস্টের আশ্রয় কেন্দ্রে কিছ মানুষকে সরিয়ে আনা গেলেও অধিকাংশ মানুষই ছিলো পানি বন্ধি। নদী উত্তাল হয়ে উঠায় সেখান থেকে মানুষকে মূল ভূখন্ডে ফিরিয়ে আনাও সম্ভব হয়নি। তবে দুপুরের পরে ভাটায় পানি কমতে থাকে। তবে সেখানে প্রচন্ড বেগে বাতাস বইছে। রাতে ফের জোয়ারে আরো বেশী পানি উঠতে পারে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছে। ইউপি চেয়ারম্যান আরো জানান, এপর্যন্ত ২৫ টি ঘর সর্ম্পূন বিধ্বস্ত ও ৫/৭শত ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া এলাকার সকল মাছের ঘের ও পুকুরের মাছ চলে গেছে।
অপর দিকে ভোলার দুর্গম দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ঘূির্ণঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বাউল বাড়ি সংলগ্ন ৬ মিটার বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও জোয়ারের পানিতে সোনারচর, চরযতিন, দাসেরহাট, চরজ্ঞান, কাউয়ারটেক, কূলাগাজী তালুক, নায়বের হাট, আলমনগর গ্রাম প্লাবিত হয়। স্থানীয় সূত্র গুলো জানিয়েছে, উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, নায়বেরহাট, সোনারচর, চরযতিন, চরজ্ঞান গ্রাম, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমনগর ও মনপুরা ইউনিয়নের কাউয়ারটেক ও কূলাগাজী তালুক গ্রামের বেড়ীর বাহিরের এলাকা ৪-৫ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এছাড়াও হাজিরহাট ইউনিয়নের জোয়ারের পানিতে দাসেরহাট জামে মসজিদ ও চরযতিন পুরাতন থানা মসজিদ , উপজেলার রামনেওয়াজ এলাকার লঞ্চঘাট,সহ শত শত ঘর-বাড়ি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এদিকে মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন চরকলাতলী ও চরনিজামের নি¤œাঞ্চল ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ভাঙ্গন কবলিত বেড়ীবাঁধ স্থানীয় চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী দীপকের নের্তৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত করতে দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের দ্বায়িত্বে থাকা জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা মো: মোতাহার হোসেন সকালে জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র। যেখানে মোট ৫ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করতে পারবে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় মোট ৭৬ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্যালাইন, ঔষুধসহ অন্যান্য ব্যবস্থা। জেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। মাঠে কাজ করছে মোট ১৩ হাজার সেচ্ছাসেবক। জরুরী প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ১৪টি টিম। প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় আলাদা আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে।
চরফ্যাশন থেকে এআর সোহেব চৌধুরী জানান, বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর,চর নিজাম,কুকরি-মুকরি ও মানিকা ইউনিয়নসহ বেশ কিছু চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে দমকা হাওয়া ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫মে) সকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকা নজরুল নগর,মুজিব নগর,কুকরি-মুকরি,চর নিজাম ও চরমানিকা ইউনিয়নসহ মূল ভূখন্ডের বেড়িঁবাধ এলাকার প্রায় ৮হাজার বাসিন্দাকে ২০টি ট্রলারে করে কোস্টগার্ড ও সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে আনা হয়েছে। চারাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে উপকূলবাসী। ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সকাল থেকেই জোয়ারের ঢালচরসহ চর নিজাম প্লাবিত হয়েছে। চরমানিকার বাসিন্দা সেলিমরানা জানান,চরফারুকিসহ দৌলতপুর,কচ্ছপিয়া এলাকার বেড়িঁবাধ সংলগ্ন বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেলে আতঙ্কিত বাসিন্দারা গবাধি পশু নিয়ে ছুটাছুটি শুরু করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানিয়েছেন , স্বেচ্ছাসেবক ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় ২০টি ট্রলারে করে ৮হাজার লোককে সরিয়ে আনা হয়েছে। এসব লোকজনকে দক্ষিণ আইচার সাইক্লোন সেল্টারগুলোতে পৌছানো হয়েছে। এছাড়াও খোলা হয়েছে দূর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। মেডিকেল টিম এবং ১২২টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়প্রার্থীদের জন্যেও ২০০ টন শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।
এদিকে ভোলা জেলা প্রশাসক মো: তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম মিঞা সাংবাদিকদের জানান, দুর্গত এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছ। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, জোয়ারের তোড়ে পুরাতন ভেঙ্গে যাওয়া বেড়ীবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ববধায়ক প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধগুলো ইয়াস এর প্রভাবে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য ৩৫ হাজার জিও ব্যাগ মজুত রাখা হয়েছে ।
বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই
জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারালো : প্রধান উপদেষ্টা
মহাকালের সমাপ্তি
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৭ দিনব্যাপী শোক পালন করবে বিএনপি
ভাবতেই পারছি না নেত্রী আমাদের মাঝে নেই: অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে ফখরুল
বেগম খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য জীবন
জীবনে কোনো নির্বাচনে হারেননি খালেদা জিয়া
যেভাবে ‘আপসহীন নেত্রী’ হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেতাকর্মীরা
বিশ্ব মিডিয়ায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ঢাকা-ভোলা নৌ-রুটের দিবা সার্ভিসে যুক্ত হলো এমভি দোয়েল পাখি-১র
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
জাতীয় সংসদে জাতির পিতার ছবি টানানোর নির্দেশ
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক