অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় দুই দিনে শিশু ও স্কুল ছাত্রীসহ ৩ জনকে ধর্ষণ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮শে এপ্রিল ২০২১ রাত ১১:২৯

remove_red_eye

১০০৩



এক জনকে সদর  হাসপাতালে ভর্তি


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক : ভোলা জেলার তিন উপজেলায় দুই দিনে এক শিশু ও ২ স্কুল ছাত্রীসহ ৩ জনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।  এদের মধ্যে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে  নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ঔষধ খাইয়ে অচেতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।  তাকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  তবে এসব ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করার খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকালে  ভোলা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী ও তার স্বজনরা জানান, ভোলার বোরহানউদ্দিনের কুঞ্জেরহাট এলাকার চর ডোস গ্রামের  অটো চালকের নবম শ্রেণীর পড়–য়া ছাত্রীর সাথে পাশ্ববর্তী তজুমদ্দিন উপজেলার উত্তর খাসের হাট গ্রামের রবু আলমের পুত্র সৌদিপ্রবাসী মো: জাকিরের সাথে এক মাস আগে একটি বিয়ে বাড়িতে  দেখা হলে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এরই মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে জাকির  ওই ছাত্রীর বাড়িতে বাবা মা না থাকার সুযোগে ঘরের দরজা খুলতে বলে।  এ সময় দরজা খুললে মুখ চেপে ঘরের পিছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এর পরে তাকে ঔষধ খাইয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা এসে  তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: সিরাজ উদ্দিন বুধবার দুপুরে জানান, ওই কিশোরীকে সেকসুয়াল এসোল্ট হিসাবে ভর্তি করা হয়েছে। তার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মাজাহারুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, তারা  ভিকটিম পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। তাদের মামলা দেয়ার জন্য বলেছেন । তবে এখনো অভিযোগ করেনি।  
দৌলতখান প্রতিনিধি জানান, ভোলার দৌলতখানে জয়নাল আবেদীন ল্যাবোরেটরী হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী চাচাতো ভাই (পরিবহণ শ্রমিক) কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে ধর্ষিতার নিজ পিত্রালয়ে ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে বুধবার ধর্ষকের নাম উল্লেখ করে দৌলতখান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেছেন। দৌলতখান থানার এসআই বায়েজিদ বুধবার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভিকটিমকে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ডেস্কের তত্বাবধানে নিয়ে এসেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভিকটিমের ফরেনসিক টেষ্টের জন্য ভোলায় পাঠানো হবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। ভিকটিম ছাত্রীর বর্ণনায় জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে তার বাবা-মা তাকে ঘরে একা রেখে পাশের বাড়ি কাঠ আনতে যায়। এ সময় সে ঘরের ভেতর খাটে শুয়ে ছিলো। এ সুযোগে তার চাচাতো ভাই পেছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকে তার মুখ চেপে জাপটে ধরে বিবস্ত্র করে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এ সময় তার মা পাশের বাড়ি থেকে এসে ঘরে প্রবেশ করলে ধর্ষক তার মাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ধর্ষক গা ঢাকা দেয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। এ ব্যাপারে দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার বর্ণনা অনুযায়ী পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালমোহন প্রতিনিধি জানান, লালমোহনে পানি খেতে ঘরে ডুকে ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে ২ সন্তানের জনক। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া ৬নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষক রিয়াজ ওরফে রিয়াদকে আসামী করে বুধবার লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেছে শিশুর মা চানবড়–। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বুধবার ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্র ধরে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সংশদি বাড়ির ফারুকের ছেলে রিয়াজ ওরপে রিয়াদ ধান ক্ষেতে কাজ করতে যায়। এসময় সকাল ৮টার দিকে পানি খাওয়ার অজুহাতে রিয়াদ ধান ক্ষেতের পাশের একটি ঘরে ডুকে। ওই ঘরে তখন ১২ বছরের শিশুটি একা ছিল। ঘরে আর কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটির কাছে পানি চায় রিয়াদ। সে পানি আনতে ঘরের ভেতরে গেলে রিয়াদ তাকে জড়িয়ে ধরে ধর্ষণ করে। ঘটনার দিন স্থানীয় ফয়সালার অজুহাতে সময় বিলম্ব করলেও বুধবার শিশুর মা থানায় এসে মামলা করে। আসামী রিয়াদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান থানা অফিসার ইনচার্জ।