অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


চরফ্যাসনে ঢালচরে জমি বিরোধের তদন্তে প্রশাসনের তিন সদস্যের টিম


মনপুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২০ রাত ১০:৫০

remove_red_eye

৫৮৭







মনপুরা প্রতিনিধি : ভোলার মনপুরায় বিচ্ছিন্ন ঢালচরে ভূমিহীনদের জমি জবর দখল আছে কিনা এমন তদন্ত করতে এসেছে জেলা প্রশাসকের তিন সদস্যের তদন্ত টিম।

বুধবার সকাল ১০ টায় ডালচরে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন আল ফারুক, মনপুরার দায়িত্বে থাকা ইউএনও রুহুল আমিন ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোঃ রায়হানুল ইসলাম। তদন্ত কমিটি ঢালচরে আবুল খায়ের গ্রæপের নির্মিত বশারত উল্লাহ চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেঘনা গ্রæপ ও গেøাব ফার্মাসিউটিক্যালের অর্থায়নে নির্মিত মসজিদ ও ইস্ট কোস্ট গ্রæপের অর্থায়নে নির্মিত রহিমা খাতুন প্রাথমিক চিকিৎসালয় ঘুরে দেখেন।

এই সময় ঢালচরের (ড্যাম্পপিয়ার) শতাধিক বন্দোবস্তীয় রের্কডীয় মালিকরা তদন্ত কমিটির কাছে লাঠিয়াল বাহিনীর দখলে থাকা জমি ফেরত পেতে দাবী তুলেন।

রেকর্ডীয় জমির মালিক  সত্তর উর্ধ্বে বৃদ্ধ বেলায়াত সর্দার, নজু উল্লাহ মাঝি, তাহের, রুহুল আমিন মিয়া সহ কমপক্ষে শতাধিক জমির মালিক তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করেন, ঢালচরে আমাদের বাপ-দাদাদের সম্পত্তির জমির মাত্র অল্প শতাংশ জমি দখলে আছে। আর বেশিরভাগ জমি হাতিয়ার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দখল করে নিয়েছে।

এছাড়াও আমেনা বেগম, শাহানুর বেগম, খাদিজা, মমতাজ, রোকসান সহ চরে বসবাসরত গৃবধুরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করেন, স্যার আমরা রাতে বেলায় হাতিয়ার জলদসুদের ভয়ে রাতের বেলায় ফরেস্টেরে বাগানে থাকি। ওরা আমাগোরে জিম্মি করে রাখেন। পুলিশ ক্যাম্প উইঠা গেলে আমরা চরে থাকতে পারুমনা।


এই ব্যাপারে ডালচরে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন আল ফারুক জানান, ডালচরে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত করতে এসেছি। চরে বসবাসরত মানুষের সাথে আলাপ করে যা পাওয়া গেছে তা জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত রির্পোট পেশ করা হবে। এছাড়াও চরের মানুষের দাবী সর্ম্পকে জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হবে।