অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


আবারও একমাত্রিক দেশ গড়ার চেষ্টায় গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: রিজভী


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ই আগস্ট ২০২৫ বিকাল ০৫:১৬

remove_red_eye

১৫৯

আবারও একমাত্রিক দেশ গড়ার চেষ্টায় গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, এই ষড়যন্ত্রের জন্য বেগম খালেদা জিয়া ১৬ বছর ধরে লড়াই করেননি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গোটা দেশকে সংগঠিত করেছেন-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা এমন একটি গণতন্ত্র চাই, যেখানে দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে, তাদের পছন্দের প্রতিনিধিকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে।  

 

শনিবার (১৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের আয়োজনে ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, এই জন্যই আমাদের এত লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ। এই জন্যই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েছে। জীবন দিয়েছে। অথচ আজ একটি চেতনাধারী বিদায় নিলে আরেক চেতনাধারী এসে ক্ষমতায় বসে-এটা তো জনগণ প্রত্যাশা করে না। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়েও এখন চেতনাধারীদের ছাড়া কেউ শিক্ষক হতে পারছে না, চাকরি পাচ্ছে না। আবারও সেই একমাত্রিক একটি দেশ গড়ার প্রচেষ্টায় গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।  

তিনি বলেন, এই গণতন্ত্রের জন্যই কি আহনাফ, মুগ্ধ, আবু সাঈদ, ওয়াসিম-শেখ হাসিনার পুলিশের গুলিতে জীবন দিয়েছে? নিজের শার্টের বোতাম খুলে গুলি বরণ করেছে? এই পাঁতানো চেতনার জন্যই কি এত রক্তপাত, এত হানাহানি?

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি এমনও শুনেছি-ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বর্তমান ডিজি তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলেছেন, ‘তোমরা রুকন না হলে তোমাদের চাকরি থাকবে না’। এটি আজই আমাকে কেউ জানিয়েছেন। আমি আপনাদের সামনে কোনো বানানো কথা বলছি না।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা যেমন তার শাসনের সময় কেউ প্রতিবাদ করলেই বলতেন-একে ধরো, ওর নামে মামলা দাও, আজও আমরা একই ধরনের আচরণ দেখতে পাচ্ছি। শুধু ব্যক্তি বদলেছে, কায়দা বদলায়নি।

তিনি বলেন, আমাদের অনেকেই উপদেষ্টা পদ পেয়েছেন, অনেকেই ভালো আছেন। তাহলে কি নতুন করে আবার সেই পুরনো অপশাসন, দুঃশাসন, চুরি-ডাকাতি, সন্ত্রাস, টাকা লুট, চাঁদাবাজি, ভর্তি ও চাকরি বাণিজ্যের পুনরাবৃত্তি মানুষ দেখতে চায়?

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এখনো তো নির্বাচন হয়নি-কে ক্ষমতায় যাবে, তা নির্ধারিত হয়নি। তাহলে এখনই এসব কথাবার্তা কেন আসছে? কেন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, রুকন না হলে চাকরি থাকবে না? শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার আত্মা বা ভূত যেন প্রশাসনের ওপর ভর করেছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম এবং সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ।

 





আরও...