অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলায় নমুনা সংগ্রহ কমিয়ে দেয়ায় রোগীদের ভোগান্তি: দুর্ব্যবহারের অভিযোগ


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২শে জুন ২০২০ রাত ১১:১৬

remove_red_eye

১০০২

বিশেষ প্রতিবেদক:: ঢাকা ও বরিশাল পিসিআর ল্যাবে নমুমা পরীক্ষায় জট বাধায় ভোলায় করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ সঠিক ভাবে করা হচ্ছে না। এতে দূরদূরান্ত থেকে ভোলা হাসপাতালে নমনুা পরীক্ষা করতে আসা রোগীরা নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় সোমবার ভোলা সদর হাসপাতালে বহু মানুষ এসে নমুনা দিতে না পেরে ফিরে গেছেন। প্রতিদিন কতোজন মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হবে তারও কোন ঘোষনা রোগীদের দেয়া হয়নি। সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিট ও নমুনা পরীক্ষার সাথে জড়িতরা সমন্বহীনতার কারণে এমন ভোগান্তি বলে অভিযোগ  সংশ্লিষ্ট রোগীদের। উল্টো করোনা ইউনিটের কর্মীরা রোগীদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজিমেন সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে দেখা যায়, ভোলা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সামনে বেশকিছু মানুষের জটলা। সকাল ৯ টায় নমুনা দিতে আসা এসব রোগী দীর্ঘ অপেক্ষার পর কোন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের কোন সহযোগিতা না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। নমুনা দিতে আসা সদর উপজেলা স্কুল শিক্ষক আনোয়ার, ব্যবসায়ী মো. হাসান, দৌলতখানের খায়েরহাট থেকে আসা বৃদ্ধ রফিজল সহ আরও অনেক অভিযোগ করেন, সকাল থেকে প্রায় ৫০ জন রোগীকে কোন সহযোগিতা না করে শুধু হয়রানী করা হচ্ছে। একজন আরেক জনের কাছে পাঠিয়ে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। কি কারণে নমুন সংগ্রহ করা হবে না এমন জানতে চাইলে করোনা ইউনিটের মো. আলম নামের এক হাসপাতাল কর্মী রোগীদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণ করেন। এক পর্যায়ে এক রোগীকে মারধর করার জন্য তেড়ে আসেন। তার ক্ষুদ্ধ আচরণের গ্রাম থেকে আসা ওই রোগী কারো সহযোগিতা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। নমুনা দিতে আসা অনেক রোগীর সাথে আলম এ ধরনের আচরণ করে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় পূর্বের রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় সোমবার অধিকাংশ লোকেরই নমুনা  নেওয়া নি। তবে  আবার কবে থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে তাও জানাতে পারেনি।  দুপুর ২টা পর্যন্ত অপেক্ষ করে প্রায় ৩০ জন রোগী হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা যায়। 

ভোলা জেরারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মো: সিরাজ উদ্দিন জানান, ঢাকা ও বরিশালের পিসিআর ল্যাবে ক্ষমতার চেয়ে নমুনা বেশি পাঠানো আছে। সরকারি বরাদ্ধকৃত নমুনা সংগ্রহের কিট শেষ হয়ে গেছে। তার পর তত্বাবধায়ক তার উদ্দ্যোগে ২০০ কিট ক্রয় করেছেন। এছাড়া ভোলা পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের দেয়া কিটের মধ্যে থেকে সিভিল সার্জন অফিস ১ হাজার কিট তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। সোমবার মাত্র ১৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আরো সংগ্রহকৃত কিট ভোলা সিভিল সার্জন অফিসে জমা রয়েছে। কিন্তু বরিশাল ও ঢাকায় অনেক জট লেগে আছে। সেখান থেকে সিগন্যাল পাওয়া গেলে পাঠানো হবে। তিনি আরো জানান, তাদের কাছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছে প্রতিদিন ৩০টা নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাতে। যাদের জ্বর,কাশ সর্দি তাদের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।