অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


চাঁদপুর নয় আজ থেকে ইলিশের বাড়ি ভোলা : ভোলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২শে অক্টোবর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৭:২৮

remove_red_eye

২৭৫

জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
 
 
বাংলার কন্ঠ প্রতিবেদক : দেশের এক-তৃতীয়াংশ ইলিশের উৎপাদনকারী জেলা ভোলা। মঙ্গলবার থেকে ইলিশের বাড়ি ভোলা বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা সদরের ভোলার খাল সংলগ্ন মাঠে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষ্যে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মৎস্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ভোলার মেঘনা নদীতে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান -২০২৪’ এর চলমান কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার। নৌযানে করে ঘুরে দেখলেন নদীর পরিবেশ আর তীড়ে এসে খবর নিলেন কর্মহীন জেলেদের। পরে সচেতনতা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার বলেন, সত্যিকারের জেলেরা আইন ভঙ্গ করছেন না। আইন ভঙ্গ করছেন ইলিশ ব্যবসায়ী ও মুনাফাভোগীরা। তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোলা ইলিশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মোট ইলিশের ৩ ভাগের এক ভাগ উৎপাদন হয় এখানে। ইলিশের জন্য ভোলাকে যেন আন্তর্জাতিকভাবেও চিনে সে চেস্টা আমরা অবশ্যই করব। এসময় তিনি বাজার সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে বলেন, বাজারের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কিছু প্রাকৃতিক কারণ আছে। কিন্তু সিন্ডিকেট একটা বড় সমস্যা। কয়েকটা সিন্ডিকেট ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা মনিটরিং করছি এবং বিকল্প বাজার ব্যবস্থা সৃষ্টির চেস্টা করছি। উৎপাদনের জায়গা থেকে ক্রেতা পর্যন্ত আসতে যে হাত বদলগুলো হয় সেটা কমাতে হবে।এসময় তিনি আরো বলেন, দাদন ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। দাদনের কারণে জেলেরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। ইতিমধ্যে আমরা এ ব্যাপারে কাজ শুরু করেছি। জেলারা যেন সহজে ঋণ পেতে পারে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময় শুধু জেলেদের নয়, যারা মাছ বিক্রি করবেন, যারা মাছ খাবেন সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ ফরিদা আখতার নৌ পথে ভোলায় এসে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মেঘনা নদীতে মা ইলিশের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। একই ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সাথে মৎস্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশা দেন।
 এসময় নিষেধাজ্ঞাকালিন কর্মহীন জেলেদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। উপদেষ্টা জেলেদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহিন মজিদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক, ইলিশ সম্পাদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্লাহ ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বক্তব্য রাখেন।