অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ই অক্টোবর ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮

remove_red_eye

২১৩

       বেকার হয়ে পড়ছে ভোলা জেলার দুই লক্ষাধিক জেলে

মলয় দে : ভোলার মেঘনাও তেতুঁলিয়াসহ সাগর মোহনায় ইলিশের প্রজনণ নিশ্চিত করতে আজ মধ্য রাত ১২ টার পর ১৩ই অক্টোবর থেকে ৩রা নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রিকরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য বিভাগ। এর ফলে  আজ রাত ১২টা থেকে জেলেদের নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে বেকার হয়ে পড়ছে এ জেলার ২ লক্ষাধিক জেলে। এদিকে ২২ দিনের অভিযান সফল করতে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

মা ইলিশ রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞা শুরুর ২  দিন আগে থেকেই নদী ও সাগর মোহনা থেকে ভোলার মাছ ঘাট গুলোতে ও তীরে ট্রলার ও নৌকা  ভিড়ছে। জেলেরা জাল গোছাচ্ছেন । আবার  কোথাও কোথাও দল বেঁধে জাল বুনছেন জেলেরা। সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞা মানতে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা বলছে, শুধু মা ইলিশ রক্ষা করলেই হবে না। জেলেদের পাশে সরকারকে দাড়াতে হবে। জেলেদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত যে চাল দেয়া হয় এতে তাদের সংসার চালানো সম্ভব নয়।চালের পাশাপাশি নগদ অর্থ প্রাপ্তির কথাও বলেন কেউ কেউ। অন্যথায় ঋণের বোঝায় জর্জরিত জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়বেন বলে জানান তারা।

এদিকে জেলেদের অনেকেই নিষেধাজ্ঞা কালীন এ সময়ে যেন দেশের বিভিন্ন এনজি গুলোর  সাপ্তাহিক যে কিস্তি রয়েছে তা বন্ধের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।তারা আরো  জানান, এ কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্যই অনেকে বাধ্য হয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরতে নামতে হয়।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে,সরকারি হিসেবে ভোলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লক্ষ ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৪১ হাজার জেলে নিষেধাজ্ঞা কালীন সরকারি প্রনোদনার ২৫ কেজি করে চাল পাচ্ছেন।নিবন্ধনের বাহিরেও এ জেলায় অন্তত ২ লক্ষাধিক জেলে রয়েছে।

এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ১৩  অক্টোবর থেকে আগামী ২২ দিন মাছ ধরা বিক্রি ও পরিবহনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা সফল করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।নিষেধাজ্ঞার প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই জেলেদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত চাল তাদের হাতে পৌছে দেয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।