অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


চরফ্যাসনে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে দুই সন্তানের জননীর অনশন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ১০:১৩

remove_red_eye

৬৭



বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : ভোলার চরফ্যাশনে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে এক শিক্ষকের বাড়িতে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চর মানিকা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়িতে ঘটেছে । অভিযুক্তের নাম মিজানুর রহমান। তিনি ওই বাড়ির সোবহান ডাক্তারের ছেলে ও উত্তর চর মানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অনশন করা ওই নারীর অভিযোগ, তার এক সন্তান ওই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে। এজন্য ওই বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা ছিল। স্কুলে গেলে মিজান মাস্টারের সঙ্গে দেখা হতো এবং মোবাইল ফোনে কথাও হতো। এক পর্যায়ে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এছাড়াও তারা ২০২৩ সালের ২০ মার্চ উত্তর আইচা বাজারের কাজি অফিসে দিয়ে ১০ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। তার বাড়িতে মিজানুর রহমান প্রায় যাতায়াত করতো বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, বেশকিছু দিন মিজান মাস্টার তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য তিনি শনিবার বিকেলে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তার বাড়িতে আসেন। তবে ওই বাড়িতে আসলে মিজান মাস্টারের আগের স্ত্রী তাকে মারধর করেন। এছাড়াও তাকে টাকা দিয়ে বিষয়টি রফাদফা করার জন্য প্রস্তাব দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী জানান, ওই নারীকে কোনো মারধর করা হয়নি। তিনি আমার বাড়িতে এসে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি করছেন। আমার স্বামী ওই নারীকে বিয়ে করেছেন কিনা জানি না।
তবে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের মোবাইল নম্বরের একাধিকবার কল করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।