বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ বিকাল ০৫:০৬
১৭৬
বিগত সময়ে যেসব বিচারক ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে মানুষের অধিকার হরণে ভূমিকা পালন করেছেন, তারা এখনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। এ বিষয় চলমান থাকলে জাতির কাছে ভুল মেসেজ যাবে’।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির দেওয়া অভিভাষণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, বিচার বিভাগ সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও অধস্তন আদালতের বিচারকরা।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিগত দেড় দশক সময়ে খুন, গুম, হামলা, মামলা, দমন, পীড়ন ও লুটপাটের মাধ্যমে নাগরিকদের ন্যূনতম মানবাধিকার কিংবা ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশী ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) পর্যন্ত চার হাজারের বেশি মানুষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। ৭শ এর বেশি মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। ৬০ লক্ষাধিক মানুষ গায়েবি মামলার আসামি হয়েছিল। কথা বলার স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীন ও মৌলিক অধিকারগুলো হরণের মাধ্যমে বিরোধী মত দমনের নিকৃষ্টতম ইতিহাস রচিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, সেই দুঃসময়ে আমাদের বিচার বিভাগ ন্যায়বিচারের ধারা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। হয় দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন, নয়তো নতজানু অবস্থান নিয়েছিলেন বলে জনধর্ম আছে। যা আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন, ৩৬ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কেউ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়নি। তার মূল কৃতিত্ব যেতে পারে আমাদের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে প্রতি।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, মামলা দায়েরে ভিকটিম ফ্যামিলি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনের গণ্ডি অতিক্রম করেছে বলে আমরা লক্ষ্য করেছি। এ বিষয়ে আমি উদ্যোগ নিয়ে জনমনে ভীতি দূর করতে আমার শিক্ষকদের কাছে আহ্বান রাখার ফলে সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছিলাম আমার অফিস থেকে। তার একটি ছিল মামলা হওয়া মানেই গ্রেপ্তার নয়। এর ফলে জনমনে অনেক স্বস্তি ফিরে এসেছে ইতোমধ্যেই।
তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুর্নীতি। যা অর্থনৈতিক কিংবা বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি হতে পারে। জাতি প্রত্যাশা করে, বিচার বিভাগ যেকোনো ধরনের দুর্নীতি কিংবা সিন্ডিকেটমুক্ত থাক। দুর্নীতির প্রচলিত ধারণা অর্থনৈতিক লেনদেন বুঝালেও, বুদ্ধিবৃত্তিক দুর্নীতি ডিনামাইট চেয়েও ধ্বংসাত্মক। অ্যাটম বোমার চেয়েও ভয়াবহ। ক্যানসারের চেয়েও মারণঘাতী। সুতরাং শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে বিচার বিভাগের সব স্তর থেকে দুর্নীতি দূরীকরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নৈতিক দায়িত্ব ও বড় চ্যালেঞ্জ বলে আমি বিশ্বাস করি।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বিগত সময়ে যেসব বিচারক ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে মানুষের অধিকার হরণে ভূমিকা পালন করেছেন, তারা এখনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে (পোস্টিং) রয়েছেন। এ বিষয় চলমান থাকলে জাতির কাছে ভুল মেসেজ যাবে। আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির অফিসকে এ বিষয়ে যথাযথ সতর্ক থাকার জন্য বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিচারকদের প্রয়োজনীয় সমস্যা দূরীকরণেও আইন উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর নেই
জাতি তার এক মহান অভিভাবককে হারালো : প্রধান উপদেষ্টা
মহাকালের সমাপ্তি
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৭ দিনব্যাপী শোক পালন করবে বিএনপি
ভাবতেই পারছি না নেত্রী আমাদের মাঝে নেই: অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে ফখরুল
বেগম খালেদা জিয়ার বর্ণাঢ্য জীবন
জীবনে কোনো নির্বাচনে হারেননি খালেদা জিয়া
যেভাবে ‘আপসহীন নেত্রী’ হয়ে ওঠেন খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেতাকর্মীরা
বিশ্ব মিডিয়ায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর
ভোলায় বিষের বোতল নিয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা
ভোলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে গলা কেটে হত্যা
ভোলার ৪৩ এলাকা রেড জোন চিহ্নিত: আসছে লকডাউনের ঘোষনা
উৎসবের ঋতু হেমন্ত কাল
ভোলায় বাবা-মেয়ে করোনায় আক্রান্ত, ৪৫ বাড়ি লকডাউন
ভোলায় এবার কলেজ ছাত্র হত্যা, মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার
ঢাকা-ভোলা নৌ-রুটের দিবা সার্ভিসে যুক্ত হলো এমভি দোয়েল পাখি-১র
ভোলায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী: এলাকায় আতংক
জাতীয় সংসদে জাতির পিতার ছবি টানানোর নির্দেশ
ভোলায় কুপিয়ে হত্যা করে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই, আটক এক