অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৪ | ১৮ই আশ্বিন ১৪৩১


ভোলায় অতি জোয়ারে ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ০৮:০৮

remove_red_eye

৪৩

            চিন্তায় দিশেহারা কৃষক

বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক : ভোলায় কয়েক দফা জোয়ার ও টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে কৃষকদের অন্তত ২০ হাজার হেক্টর জমির আমনের চারা ও বীজতলা। পুরো বীজতলা ভেসে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
 
শুধু তাই নয়, পানিতে ডুবে আছে সবজিসহ অন্যান্য ফসল। এমন বাস্তবতায় ক্ষতিগ্রস্তরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন সে চিন্তায় দিশেহারা কৃষক।

ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্ধারিত সময়ে আমনের বীজতলা করতে পারেননি ভোলার কৃষকরা। যখন জমি প্রস্তুত করেন ঠিক তখনি জোয়ার-বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় বীজতলা। নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় বীজতলা তৈরি করেন তারা। তবে চার দফা জোয়ার আর ভারী বর্ষণে ফের ডুবে যায় আমনের ক্ষেত, গ্রীষ্মকালীন সবজি ও পানের বরজ। যে কারণে ক্ষতির মুখে কৃষকরা।
অনেকেই ধার দেনা আর এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। ক্ষতির মুখে থাকা কৃষকরা নতুন করে কীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর এমন চিন্তার ছাপ তাদের মধ্যে।
রাজাপুর ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গির মিঝি, ইসহাক, মনির ও সালাউদ্দিন বলেন, জোয়ারে বেশ কয়েকবার বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। পুনরায় তৈরি করেছি তাও জোয়ারে নষ্ট হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভোলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবীর বলেন, সংকট মোকাবেলায় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জোয়ারে কিছুটা ক্ষতি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। এ বছর জেলায় এক লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।