অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে হোটেল ভাড়া নিয়ে বাসা বাড়িতে চুরি


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিকাল ০৩:৩৫

remove_red_eye

৪৬৫

সংঘবদ্ধ ৩ চোর আটক
 
লালমোহন প্রতিনিধি :  আবাসিক হোটেল ভাড়া নিয়ে লালমোহনে চোরের রাতে অবস্থান। আর সুযোগ বুঝে বাসা বাড়িতে ডুকে মূল্যবান মালামাল চুরি করাই তাদের পেশা। এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র ঢাকা থেকে নিয়ে আসে সহযোগিদের। পরে পরামর্শ করে চালায় তাদের অভিযান। 
 
সোমবার দিনদুপুরেই এই চোর চক্র পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সবুজবাগে এক শিক্ষকের ভাড়া বাসায় হানা দেয়। বাসায় কেউ না থাকার খবর নিয়ে তারা ওই বাসায় ডুকে মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, রাউটার, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। বাসাটিতে ভাড়া থাকেন অহিদুননবী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আকবর হোসেন। চুরি যাওয়া মালামালগুলো তার। 
 
আকবর হোসেন জানান, সোমবার সকালে স্কুলের কাজে বরিশাল যান তিনি। দুপুরে তার স্ত্রী পৌরসভার ওয়েষ্টার্ণ পাড়ায় বোনের বাসায় দাওয়াত খেতে যায় বাসায় তালা লাগিয়ে। বাসা ফাকা পেয়ে চোরেরদল বাসার জানালার গ্রীল কেটে বাসায় ঢুকে আলমারি, সোকেজ, ট্রাংক ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, চেকবই, মোবাইল, রাউটার ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পূর্বে বাসায় এসে মাওলানা আকবরের স্ত্রী চুরির বিষয়টি টের পান। পরে আকবর হোসেন বাসায় আসার পর লালমোহন থানায় অভিযোগ করেন। 
 
অভিযোগের পর লালমোহন থানা পুলিশ তল্লাসি চালিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বদরপুর থেকে মো. সুজন হাওলাদার নামে এক চোরকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে লালমোহন তালুকদার হোটেল থেকে মো. সাগর ওরফে মাকসুদ ও মো. রাকিব হাওলাদার নামে আরো দুই চোরকে আটক করে। সেখান থেকে চুরি যাওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয় বলে জানান লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাহবুব-উল-আলম। তিনি জানান, এরা পেশাদার সংঘবদ্ধ চোর। সুজন ঢাকা থেকে তার দুই বন্ধু রাকিব ও মাকসুদকে নিয়ে আসে।
 
এরা তালুকদার হোটেলে অবস্থান করে সুযোগ বুঝে চুরি করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ধৃত আসামী মাকসুদের নামে বিভিন্ন থানায় তিনটি মাদক মামলা ও দুটি চুরি মামলা এবং আসামী সুজন হাওলাদারের নামে বিভিন্ন থানায় সর্বমোট সাতটি চুরি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চুরি মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও মোঃ জাহের মাল (৩৫) নামে আরো একজন ডাকাত গ্রেফতার হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ০৭টি ডাকাতি মামলা আছে।