অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ | ১৬ই কার্তিক ১৪৩১


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জরুরি সভায় মন্ত্রীরা


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১শে জানুয়ারী ২০২৪ বিকাল ০৫:৩৭

remove_red_eye

৮৭

দেশের খোলা বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুতদার ও সিন্ডিকেটের কারসাজি রোধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুত সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরি সভায় বসেছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা৷

এ সভায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এ জরুরি সভা শুরু হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে বৈঠকে বসেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, সভায় বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতির সঙ্গে চাহিদা বিশ্লেষণ করে ঘাটতি চিহ্নিত করা এবং রমজানের আগে ঘাটতি মেটাতে পণ্য আমদানি সহজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। পাশাপাশি ঘোষিত মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায় নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া চাল, আটা, তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, গরুর মাংস, ডিম ও পোলট্রি পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করা কারসাজির হোতাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থার কঠোর দৃষ্টান্ত স্থাপনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আলাপচারিতায় এক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে জানান, এতদিন বাজার ব্যবস্থাপনার বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এককভাবে সামলেছে। তবে এখন থেকে আমরা আর একা নই। আমাদের সঙ্গে অর্থ, কৃষি, মৎস্য, প্রাণী, শিল্প ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর-তো রয়েছেই। আগামীতে আমরা তাদের সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবো। বাজারে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে এ সমন্বয়েই সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হবে।

 

সুত্র জাগো