অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৪ই পৌষ ১৪৩২


ভোলার ৪টি আসনে আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন তোফায়েল আহমেদ মুকুল শাওন জ্যাকব


বাংলার কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬শে নভেম্বর ২০২৩ রাত ১১:১০

remove_red_eye

৯৯৪



হাসিব রহমান : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারো উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থানের মহানায়ক সাবেক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী  তোফায়েল আহমেদ ভোলা-১ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি এবার নিয়ে ৯ম বার  আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ছেন। অপর দিকে ভোলা-২ আসনে আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনে নূরনবী চৌধুরী শাওন ও ভোলা- ৪ আসনে থেকে আব্দুলাহ আল ইসলাম জ্যাকব পুনরায় দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রবিবার বিকেলে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২৯৮ জন  আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর নাম ঘোষনা করেন।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভোলা-১ আসন থেকে নবম বারের মতো আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন  বর্তমান ভোলা-১ আসরে সংসদ সদস্য,  আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ,বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারি তোফায়েল আহমেদ এর উপর নির্ভর করে ভোলার আওয়ামীলীগের রাজনীতি। এ আসনে তার বিকল্প আর কেউ নেই। তিনি একাধিকবার ভোলার বিভিন্ন আসন থেকে  নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার আগে তিনি এম.এন.এ. নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সনের ৭ মার্চ  তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ভোলা-২ আসন থেকে ১৯৮৬ সনের ৭ মে’র নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সনের ২৭ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোলা-১ ও ভোলা-২ আসন থেকে তোফায়েল আহমেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর ১৯৯৬ সনের ১২ জুনের নির্বাচনে আবারও ভোলা-১ ও ভোলা-২ আসন থেকে তিনি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সনের নির্বাচনে ভোলা-২ আসন থেকে বিএনপি জোটের প্রার্থী ড. আশিকুর রহমান শান্তকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া ২০১৪ সনের নির্বাচনে তিনি ভোলা-১ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সনে বিএনপির প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীরকে হারিয়ে তিনি আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মূলত স্বাধীনতার পর তোফায়েল আহমেদ সাংসদ নির্বাচিত হলে তার হাত ধরেই ভোলার উন্নয়নের সূচনা হয়। তার উদ্দ্যোগেই সর্বপ্রথম ভোলা-চরফ্যাসন উপজেলার মধ্যে ৬ত কিলোমিটার র্দীঘ কাদা মাটির রাস্তার উন্নয়ন করণ কাজ হয়। তখন সড়ক বিভাগের ভোলায় অফিস স্থাপন করে এই কাজ তোফায়েল আহমেদ উদ্বোধন করেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে এবং ভোলা-চরফ্যাসন মহাসড়কসহ অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক সহযোগিতায় তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায় সরকারের একের পর এক উন্নয়নে ভোলা বাংলাদেশের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠ জেলায় রূপান্তরিত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে পাল্টে যাচ্ছে চিরচেনা দ্বীপ জেলা ভোলার সেই পুরনো চিত্র। একযুগ আগেও পিছিয়ে থাকা ভোলা শহর এখন পরিণত হচ্ছে আধুনিক নগরীতে।
দ্বীপজেলা ভোলায় ইতোপূর্বে নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তাই নদী ভাঙ্গনে বহু এলাকা বিলীন হয়ে যায়। ভোলা সদরের ইলিশা জংশন এলাকায় যখন রাক্ষুসে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে শত শত বসত ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা, হাটবাজার বিলীন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় ও তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের প্রচেষ্টায় ৪ কিলোমিটার এলাকা সিসি বøক স্থাপনের মাধ্যমে ইলিশা বাজারসহ বহু সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা রক্ষা পায়। শুধু নদী ভাঙ্গন রোধই নয় স্বাধীনতার পরে বর্তমান ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায় ভোলার উন্নয়নের সূচনা হয়। দৃশ্যমান ভোলার উন্নয়ন বলতেই তোফায়েল আহমেদ। বর্তমানে তার প্রচেষ্টায় ভোলায় অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, জেলা শহরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, পৌরভবনসহ সরকারি অসংখ্য বহুতল ভবন, ভোলা খেয়াঘাটে আধুনিক টার্মিনাল ও নদী বন্দর স্থাপনসহ ব্যাপক উন্নয়নে গত প্রায় এক যুগে পাল্টে গেছে ভোলার চিত্র। এমনকি তোফায়েল আহমেদ ব্যক্তি উদ্যোগে ভোলার বাংলাবাজারে স্বাধীনতা জাদুঘর ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি বৃদ্ধাশ্রম এবং আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর অনন্য উদাহরণ দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদ। তিনি বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজ, ওবায়দুল হক কলেজসহ অসংখ্য স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও ভোলার মানুষের আধুনিক চিকিৎসা সেবার জন্য তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাবাজারে একটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ কাজ চলছে। স্বাধীনতার আগ থেকে শুরু করে এমএনএ-সহ সংসদ সদস্য নির্বাচনে ৮ বার বিজয়ী তোফায়েল আহমেদ শুধু বর্তমান আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয় মেয়াদেই নয়, বরং ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার থাকাকালে তার প্রচেষ্টায় সড়ক পথে যানবাহন চলাচলের জন্য ভোলার ভেদুরিয়া থেকে বরিশালের লাহারহাট রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।  পল্লী বিদ্যুতের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বর্তমান সরকারের আমলে ভোলাকে মূল ভূখন্ডের সাথে যুক্ত করতে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মান করার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করবেন বলে ঘোষণা করেন এবং সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভতা যাচাইয়ের কাজ করা হয়েছে। এলাকাবাসী মনে করছেন বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প তোফায়েল আহমেদের দ্বারাই সম্ভব ।  এ জন্যই তার কোন বিকল্প এখানে নেই। তাকে ঘিরেই ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। তাই তোফায়েল বলতেই ভোলা। আর ভোলার নাম নিলেই চলে আসে বঙ্গবন্ধুর ¯েœহধন্য তোফায়েল আহমেদের কথা। এসব কারনে ভোলায় তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগ যেমন ঐক্যবদ্ধ তেমন আগের চাইতে অনেক বেশি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। তেমনি ভোলার মানুষের কাছে তোফায়েল আহমেদ সব চাইতে জনপ্রিয় ও আস্থার প্রতীক।

ভোলা-২ আসনে পুনরায় মনোনয়ন পাওয়া আজম আলী মুকুল এমপি ২০১৪ সনের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাউদ্দিনকে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সনের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমকে হারিয়ে পুনরায় নির্বাচিত হন আলী আজম মুকুল। ভোলার ৪টি আসনের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা ব্যাতিক্রম। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি তৃণমূলের গণমানুষের বন্ধু হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি এলাকার মানুষকে ব্যাপক সময় দেন। যখনই এলাকায় থাকেন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মানুষ তাকে ঘিরে রাখেন। কোন বাঁধা ছাড়াই সাধারণ একজন মানুষ তার কাছে গিয়ে কথা বলার সুযোগ পান। শুধু তাই নয় তিনি  তার নির্বাচনী এলাকার গ্রাম গঞ্জে একে দিন একেক এলাকায় গিয়ে অতি সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলেন। তাদের সুখ দু:খের কথা শোনেন। তাদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করেন। তার গনসংযোগ অব্যহাত রয়েছে। গরীব অসহায় অসুস্থ মানুষের নিরবে তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এমপি আলী আজম মুকুল মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন রোধে সিসি বøক স্থাপন, ২টি কলেজ ও একটি হাই স্কুল  জাতীয়করণ সহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়েছেন। দলের তরুণ নেতাকর্মীদের সঙ্গেও তার সখ্যতা রয়েছে। এখানকার আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আলী আজম মুকুল তাদের হৃদয়ে রয়েছে।

ভোলা-৩ আসনে পুনরায় আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন  ২০১০ সনে উপ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিনকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুনবী চৌধুরী শাওন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ্যাডভোকেট এ কে এম নজরুল ইসলামকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করেন। মেজর হাফিজের সা¤্রাজ্য ভেঙ্গে এমপি শাওনের নেতৃত্বে এলাকায় আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাটিতে পরিণত হয়। র্দীঘ দিনের ঝিমিয়ে পড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে, দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম করে যান নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে সফলও হন এমপি শাওন। এরপর ২০১৮ সনের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রমকে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে হারিয়ে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন নির্বাচিত হন। শুধু দলকে সুসংগঠিত নয়,র্দীঘ দিনের অনুউন্নত এলাকার উন্নয়নে কাজ শুরু করেন। এলাকার বড় সমস্যা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে লালমোহন ও তজুমদ্দিনে কয়েক শত কোটি টাকা ব্যায়ে ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হয়। লাঙ্গলখালী সেতুসহ অসংখ্য রাস্তাঘাট, স্কুল মাদ্রাসা নির্মান করেন। তজুমদ্দিনের একটি কলেজ সরকারি করন করা হয়।  লালমোহনে সজীব ওয়াজেদ ডিজিটাল পার্ক নির্মান করা হয়। যা দেখতে এলাকার বাইরে থেকে প্রতিদিন মানুষ ভীড় জমায়। ভোলা-৩ আসনে মানুষের প্রধান সমস্য ছিলো নদী ভাঙগন।  গত প্রায় ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার সময় ১৯ কিলোমিটার বেড়ি বাধ সিসি বøক দিয়ে স্থায়ী ভাবে  করা হয়েছে। আরো প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেড়ি বাধের  বøকের কাজের টেন্ডার হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বেড়ি বাধ রক্ষায় বলকের কাজে ব্যয় করা হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ৩টি কলেজ,৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মান করা হয়েছে। ক্রীড়সহ শুধু এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নই নয় তৃনমূল পর্যায়ে  ইউনিয়নের ওয়ার্ড থেকে শুর করে উপজেলা পর্যন্ত দলকেও সুসংগঠিত করা হয়েছে। এমনকি মহিলা আওয়ামী লীগ ও মহিলা যুব লীগ পর্যন্ত শক্তিশালী।
 ভোলা-৪ আসন থেকে পুনরায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সংসদ সদস্য প্রার্থী সাবেক সংসদ মরহুম অধ্যক্ষ এম.এস নজরুল ইসলামের জেষ্ঠ পুত্র আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ২০০৮ সালে বিএনপির কাছ থেকে ভোলা-৪ আসন উদ্ধার করে তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী  আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বিনা প্রতিদ্বন্দিতায়  নির্বাচিত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হওয়ার পর আবদুল্ল্যাহ আল ইসলাম জ্যাকব জলবায়ু,পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সনের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আলমকে হারিয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হন জ্যাকব। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর টানা ৩ বার  এমপি হয়ে জ্যাকব তার পিতা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নজরুলের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্নপূরনে কাজ করেন। তিনি গত ১৫ বছরে চরফ্যাসনের আমল পরিবর্তন করেছেন। চরফ্যাসনের সেই পূরনো চিত্র পাল্টে গেছে।  বলতে গেলে চরকে বাস্তবে ফ্যাসনে পরিবর্তন করেছেন। তিনি চরফ্যাসন উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন থেকে ২১টি ইউনিয়নে রুপান্তর করেছেন। জ্যাকবের প্রচেষ্টায় চরফ্যাসন উপজেলায় ১টি থানা থেকে শুরু করে ৪টি থানা স্থাপন করা হয়।
এক সময়ের অবহেলিত এই দ্বীপে প্রায় এমন কোন সেক্টর নেই যে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ভোলার প্রাকৃতিক স¤পদককে কাজে লাগিয়ে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা। ভোলার চরফ্যাসনের কুকরি মুকরির ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল যেন এক মিনি সুন্দরবনে পরিণত হয়েছে। চরফ্যাসনের প্রাকৃতিক নৈর্সগিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের মধ্যে ২২৫ ফুট উচ্চতার সবচাইতে উঁচু জ্যাকব টাওয়ার। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উদ্বোধনের পর চরফ্যাসনে পর্যটনের নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়। ইতো মধ্যে দৃষ্টি নন্দন টাওয়ার দেখতে দেশ বিদেশ থেকে পর্যটক এখন চরফ্যাসনে আসছে। এছাড়াও কুকরি মুকরিকে পর্যটকদের জন্য আকৃষ্ট করতে অত্যাধুনিক সরকারি একটি রেষ্ট হাউজ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ইতো মধ্যে ইকো পার্ক নির্মান কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। বাজারে দৃষ্টি নন্দন মসজিদ নির্মান করা হয়।  জ্যাকব   চর‌্যফাসন বাজারের পিছনে পরিত্যাক্ত একটি পুকুরকে সংস্কার করে ফ্যাসন স্কয়ারে স্থপান করেছেন দৃষ্টি নন্দন মিউজিক ফোয়ারা। তার পাশেই নির্মান করা হয়েছে বিনোদনের জন্য  শেখ রাসেল শিশু পার্ক। এছাড়া জ্যাকব চরফ্যাসনে রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে শুরু করে অতি: জেলা ও দায়রা জজকোট, পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থান্তর করেন।  চরফ্যাসন ও মনপুরায় তার প্রচেষ্টায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করন করা হয়। তার উদ্দ্যোগে চরফ্যাসনে ৫টি কলেজ নির্মান, বাংলাদেশের মধ্যে অত্যাধুনিক বাস ষ্ট্যান্ড নির্মান, প্রায় ৪০০ মিটার মায় সেতু, প্রায় ৩৫০ মিটার সুলতানের খেয়া, ১৩৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে মনপুরা ও চরফ্যাসনে সিসি বøকের কাজ করা হয়।