অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩শে অক্টোবর ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:১৯

remove_red_eye

২৫৪

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হলেও, দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার আবার ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এর আগে গত সপ্তাহের শেষ চার কার্যদিবস শেয়ারবাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকে। মূল্যসূচকের পাশাপাশি বাড়ে লেনদেনের গতি। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। অবশ্য এরপরও ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়।

এ পরিস্থিতি সোমবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পার হওয়ার পর পরই দাম কমার তালিকায় নাম লেখায় একের পর এক প্রতিষ্ঠান। এতে লেনদেনের প্রথম একঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ পয়েন্ট কমে যায়।

লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় এসে কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় পতনের হাত থেকে রক্ষা পয় সূচক। তবে এরপরও ডিএসইতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির এবং ১৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় এক পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১০০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে চার কার্যদিবস পর ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হলো।

টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৩৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ১৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সোনালী আঁশ, জেমিনি সি ফুড, এমারেল্ড অয়েল, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, কহিনুর কেমিক্যাল, লিব্রা ইনফিউশন এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৯টির এবং ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

সুত্র জাগো