অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল বিধবা নারীর


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭ই আগস্ট ২০২৩ সন্ধ্যা ০৬:২৫

remove_red_eye

২৪৫

লালমোহন প্রতিনিধি :  ভোলার লালমোহনে সাপের কামড়ে মোসা. পারুল বেগম নামে ৪৫ বছর বয়সী এক বিধবা নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তারাগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পারুল বেগম ওই এলাকার মৃত অদুদ সিকদারের স্ত্রী।
মৃত পারুলের মা ফিরোজা বেগম জানান, গত দুই দিন ধরে মুরগির বাচ্চা খেয়ে ফেলছিল অজ্ঞাত কোনো প্রাণি। বুধবার রাতে মুরগির বাচ্চা ডাক দিলে পারুল বেগম ঘুম থেকে জেঁগে অন্ধকারের মধ্যে ইঁদুর ভেবে মুরগির খোপে হাত দিয়ে সাপকে চেপে ধরে। তখন ওই সাপ তার ডান হাতের তালুতে কামড় দেয়। এরপর পারুল চিৎকার দিলে তাকে দ্রুত লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বিষধর সাপে কামড়েছে বলে জানান। এরপর ওই ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য পারুল বেগমকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তবে তারা পথিমধ্যে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে স্থানীয় ওঝার কাছে যান। সেখান থেকে কথিত চিকিৎসা শেষে বাড়ি চলে যান।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পারুল হঠাৎ বমি করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর আবার তাকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অতনু মজুমদার বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক ১ টার দিকে সাপে কামড়ানো অবস্থায় পারুল বেগম নামের এক রোগীকে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। এ সময় তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। তবে তারা ভোলায় না গিয়ে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে স্থানীয় ওঝার কাছে যান। সেখানে গিয়ে অপচিকিৎসা নেওয়ার ফলেই ওই মহিলা মারা যান।
এই চিকিৎসক আরো বলেন, কাউকে সাপে কামড়ালে সময় নষ্ট না করে এবং গ্রাম্য কোনো ওঝা বা কবিরাজের কাছে না গিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হবে। তাহলে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রক্ষা পেতে পাড়ে সাপে কামড়ানো ব্যক্তির প্রাণ।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাপের কামড়ে মারা যাওয়া ওই মহিলার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশের একটি টিম। কোনো অভিযোগ না থাকায় ওই মহিলার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।