অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


লালমোহনে ষোল বিড়ালের বন্ধু বানী মজুমদার


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ই জুলাই ২০২৩ রাত ০৮:৫৬

remove_red_eye

২৯২

লালমোহন প্রতিনিধি: একটি-দুইটি নয়। ১৬ টি বিড়ালের সঙ্গে পরম যত্নে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন ভোলার লালমোহনের বানী মজুমদার নামে এক শিক্ষিকা। পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়া সড়কের নিজ বাসায় ১৬ টি বিড়াল পোষছেন তিনি। প্রতিদিন এসব বিড়ালকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয় সিদ্ধ মাছ ও ভাত। পরম যত্নে   বিড়ালগুলোকে করেন পরিচর্যাও। এ যেন প্রাণির প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য নিদর্শন। বানী মজুমদার লালমোহন হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করছেন। জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে দেশিয় প্রজাতির ছোট একটি বিড়াল সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে তার ছেলে তন্ময় সরকার সেটিকে বাসায় নেন। এরপর যতœ করে বিড়ালটিকে পালতে শুরু করেন পরিবারের সকলে। এরমধ্যে আরেকটি দেশি বিড়াল এসে ওই বিড়ালটির সঙ্গে যুক্ত হয়। যেখানের  একটি পুরুষ ও একটি মহিলা বিড়াল। এরপর মহিলা বিড়ালটি বাচ্চা দিতে শুরু করে। এখন সব মিলিয়ে বানী মজুমদারের বাসায় বিড়ালের সংখ্যা ১৬টি। এরমধ্যে- ছোট ছানা ৫টি, কিশোর ৩টি ও পূর্ণবয়স্ক ৮টি বিড়াল রয়েছে। শিক্ষিকা বানী মজুমদার বলেন, এসব বিড়ালগুলোকে আমি নিয়মিত খাবার দেই। এগুলো পরিবারের সকলের সঙ্গে দুষ্টুমী করে। যা সকলে উপভোগ করি। রাতে বিড়ালগুলো বাসার বিভিন্ন জায়গাসহ খাটে উঠে ঘুমায়। এসব বিড়ালের প্রতি আমার এক ধরনের মায়া জন্মেছে। এখন বাসায় এসে এগুলোকে না দেখলে ভালো লাগে না। স্কুলে যাওয়ার সময় বড় বিড়ালগুলো আমাকে সড়ক পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসে। আবার ফেরার সময় সেখান থেকে বরণ করে নিয়ে আসে। তাই এই বিড়ালগুলোর প্রতি ভালোবাসা একটু বেশিই। নিয়মিত বিড়ালগুলো যতœ করে পরিচর্যা করি। এছাড়া সময় মতো বিড়ালগুলোকে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনও প্রদান করা হয়। বানী মজুমদারের স্বামী রতন সরকার বলেন, আমার স্ত্রী বিড়ালগুলোকে অনেক ভালোবাসে এবং আদর-যত্ন করে। বিড়ালগুলো যখন নিজেদের মধ্যে দুষ্টুমি করে তখন পুরো ঘর মাতিয়ে রাখে। এতে করে আমরাও অনেক আনন্দ পাই। এসব বিড়াল পালনে আমার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করি। ন্যাচার কনজারভেশন কমিটি (এনসিসি) ভোলার সমন্বয়কারী মো. জসিম জনি জানান, পশু-পাখি পালনের মাধ্যমে মানুষের মনে আত্মতৃপ্তি মিলে। যারা প্রাণির প্রতি আন্তরিক থাকেন তারা কখনও খারাপ কাজ করতে পারেন না। আমরা চাই; সমাজের প্রত্যেক মানুষ উদার হোক। যতœশীল হোক প্রতিটি প্রাণির প্রতি।