অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


মাছের খামার থেকে বাহালুলের বছরে আয় ৭০ লাখ টাকা


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০ই জুলাই ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:৫১

remove_red_eye

২২৪

লালমোহন প্রতিনিধি : মো. বাহালুল কবীর খাঁন। ছিলেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন ওয়ারেন্ট অফিসার। সেখান থেকে ২০১১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর গ্রামের বাড়িতে এসে একটি পুকুরে তেলাপিয়া-পাঙ্গাশ মাছ চাষের মধ্য দিয়ে শুরু করেন মৎস্য খামার। বর্তমানে বাহালুল কবীরের মাছের পুকুরের সংখ্যা ১২টি। যেখানে রয়েছে- পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, হাইব্রিড কই ও শিংসহ অন্যান্য মাছ। এসব মাছকে খাওয়ানো হয় বয়লার। বর্তমানে মাছ ছোট কারনে প্রতিদিন ব্যয় হয় অন্তত ২৬ হাজার টাকা। মাছ যত বড় হয় খাবারের ব্যয় আরো বাড়ে। বছরে দুইবার এ মৎস্য খামার থেকে মাছ বিক্রি করেন তিনি। প্রতিবার কোটি টাকার মতো মাছ বিক্রি করা হয় বাহালুল কবীরের ‘খাঁন মৎস্য খামার’ থেকে। যেখান থেকে প্রতিবার তিনি খরচ বাদে অন্তত ৩৫ লাখ টাকার মতো লাভ করেন। জানা যায়, ভোলার লালমোহনের চরভূতা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিগঞ্জ এলাকার হাশেম মাস্টার সড়কের বাসিন্দা মো. বাহালুল কবীর খাঁন। সেখানে নিজ জমিতেই তিনি গড়ে তুলেছেন এ মৎস্য খামার। খামারের মাছ বিক্রি করে প্রতি বছরে তিনি আয় করেন অন্তত ৭০ লাখ টাকা। নিজের মৎস্য খামারের ব্যাপারে মো. বাহালুল কবীর খাঁন বলেন, সেনা বাহিনী থেকে অবসরের পর একটি পুকুরে তেলাপিয়া-পাঙ্গাশ মাছ চাষ শুরু করি। ৩ মাস পর ওই পুকুরের মাছ বিক্রি করে মোটামুটি ভালো লাভ হয়। এরপরে পুকুর বাড়াতে থাকি। বর্তমানে ১২টি পুকুর রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির এক কোটির অধিক মাছ রয়েছে। প্রতি বছরে দুই বার এসব পুকুর থেকে মাছ বিক্রি করি। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে বছরে অন্তত ৭০ লাখ টাকার মতো লাভ হয়। বাহালুল কবীর আরো বলেন, সমাজের যারা বেকার রয়েছেন তারাও সঠিক নিয়ম মেনে মাছ চাষে উদ্যোগ নিতে পারেন। বেকার না থেকে এ ধরনের কাজের উদ্যোগ নিলে নিজেদের বেকারত্ব দূরীকরণসহ আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন। লালমোহন উপজেলা সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানভীর আহমেদ জানান, নতুন করে যারা মৎস্য খামার করতে আগ্রহী তাদের উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে টেকনিক্যাল সাপোর্টসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়। এছাড়া ওইসব নতুন খামারিদের যেকোনো প্রয়োজনে  উপজেলা মৎস্য অফিস সব সময় তাদের পাশে থাকবে।