অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৫ই পৌষ ১৪৩২


করোনার প্রকোপ কমছে না, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯২২


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ বিকাল ০৩:২১

remove_red_eye

৮৮৬

বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। আগের তুলনায় চীনে এতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমলেও বিপরীত চিত্র বাইরের দেশে। এরই মধ্যে ইরান, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্ক বাড়ছে অন্য দেশগুলোতেও।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, শুক্রবার দেশটিতে করোনাআক্রান্ত ৪৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে দুটি বাদে সবগুলোই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৮৩৫ জন।

চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৭ জন, এর মধ্যে প্রায় সবই হুবেইয়ে। দেশটিতে এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ২৫১ জন।

চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ভাইরাস আক্রান্ত ৩৯ হাজার ২ জনকে তারা চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলেছেন।

বিশ্বের অন্তত ৫৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে অন্তত ৮৭ জন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন।

ইরানে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি দাবি করেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ খবর অস্বীকার করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, সেখানে এ পর্যন্ত মোট ৩৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, আর মারা গেছেন ৩৪ জন।

ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৮৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ২১ জন।

এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় শুক্রবার নতুন করে ৫৯৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৩১ জন, যা চীনের বাইরে সর্বোচ্চ। দেশটিতে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬ জন।

চীন থেকে ফেরার পর মঙ্গোলিয়ার প্রেসিডেন্ট খলতমা বাতুলগা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সগবাটার দামদিনকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে (ভাইরাস সংক্রমণরোধে আলাদাভাবে রাখা) পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মন্তসেম। তাদের সঙ্গে সফর করে আসা অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও একইভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

সব মিলিয়ে যতই দিন যাচ্ছে করোনা আতঙ্ক ততই বাড়ছে। এখনও এই ভাইরাস মোকাবিলা করতে পারছে না বিশ্ববাসী। এ পরিস্থিতি ‘বৈশ্বিক মহামারি’ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ইতোমধ্যে এটিকে ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা।





আরও...