অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৬ই পৌষ ১৪৩২


বিডি ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশনের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সাফল্য কামনা প্রধানমন্ত্রীর


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ই জুন ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:৫২

remove_red_eye

১৯৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)-এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংগঠনের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।  আগামীকাল এই সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে।
দিবসটির প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে’ বাংলাদেশ ইকেবানা অ্যাসোসিয়েশনের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’ 
তিনি আরো বলেন, আমি সংগঠনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
বিআইএ জানায়, ইকেবানা হল সপ্তম শতাব্দী থেকে প্রচলিত ফুলের বিন্যাসের জাপানি শিল্প-যা দিয়ে পূজার বেদীতে নৈবেদ্য দেয়া হতো।
এই শিল্পটি ১৬ শতকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের প্রভাবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছায় এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জাপান এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে ১ হাজারেরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন স্কুলের মাধ্যমে এটি বিকশিত হয়েই চলেছে। 
বিআইএ’র প্রতিষ্ঠাতা ড. এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন এবং জাপানে অধ্যয়ন বা প্রশিক্ষণ নেয়া একদল বাংলাদেশি ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে ঢাকার শান্তিনগরে জাপান দূতাবাসের প্রাঙ্গণে একটি ইকেবানা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিআইএ শুধু জাপানি স্টাইলের ফুল সাজানোর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি।
তিনি অরো বলেন, সংস্থাটি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকা- আদান-প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
এরই অংশ হিসেবে ২০২২ সালে বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে এই সংগঠনটি।
বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে জাপান একটি বিশেষ স্থান অর্জন করে আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বন্ধুরাষ্ট্র জাপান ১৯৭২ সালের ১০  ফেব্রুয়ারি সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাপান সফর করেন। 
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপিত হয়।
তিনি আরো বলেন, তখন থেকে জাপান বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
এছাড়াও নিয়মিত সংস্কৃতি বিনিময় ও বিভিন্ন পর্যায়ে সফরের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক দিন দিন নতুন মাত্রা পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় জাপান এখন বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন সহযোগী দেশ থেকে কৌশলগত অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

সুত্র বাসস