অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, রবিবার, ২৮শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৩ই পৌষ ১৪৩২


তজুমদ্দিন থেকে চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী জাহাজ চালু স্বস্তিতে শত শত শ্রমজীবী


তজুমদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২রা মে ২০২৩ সন্ধ্যা ০৭:৩৭

remove_red_eye

২২৩

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার তজুমদ্দিনের সঙ্গে চট্টগ্রাম নৌপথে এবার চালু হলো সরাসরি জাহাজ সার্ভিস। যাত্রীবাহী এই জাহাজ চালু হওয়ায় স্বস্তিতে আছেন দ্বীপ জেলার শত শত শ্রমজীবী মানুষ।
 
ভোলা জেলার যাত্রীদের সড়ক পথে ভোগান্তি কমাতে চরফ্যাশনের বেতুয়া ঘাট থেকে তজুমদ্দিন হয়ে এমভি বারো আউলিয়া নামের জাহাজটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাটের যাতায়াত করবে। পরদিন চট্টগ্রাম থেকে একই রুটে জাহাজটি যাত্রী নিয়ে আবার ফিরে আসবে। 
 
আজ মঙ্গলবার (২ মে) তজুমদ্দিনের চৌমহনী লঞ্চঘাট গিয়ে দেখা যায়,  কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের বিলাসবহুল এমভি বারো আউলিয়া জাহাজটি বেলা সাড়ে ১১টায় তজুমদ্দিনের চৌমহনী লঞ্চঘাটে আসলে যাত্রীদের ব্যাপক ভীড়। উত্তাল মেঘনায় যাতায়াতের জন্য নিরাপদ নৌযান পেয়ে শিশু ও  নারীসহ যাত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। আমেনা (৫০), আঃ হক(৬৩), সোহাগ (১৯)সহ চট্টগ্রাম গামী যাত্রীরা জানান,এই নৌ-পথটি চালু হওয়ায় পরিবারসহ সহজে আমরা চলাচল করতে পারবো, এতে ভোলার যাত্রীদের অনেক সুবিধা হয়েছে। জাহাজ টি চালু থাকলে চট্টগ্রামের সাথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ আরো সহজ হবে বলে জানান যাত্রীরা।
 
ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিএফ) তজুমদ্দিনের সদস্য সচিব এম নূরুন্নবী বলেন,
ভোলাবাসীর জন্য সড়ক পথে চট্টগ্রাম যাতায়াত করা কস্টকর ছিল। এই জাহাজ নিয়মিত চললে সকল দুর্ভোগ লাগব হবে।
 
তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি রফিকুল ইসলাম সাদী জানান,ভোলার বিপুলসংখ্যক শ্রমিক ও বিভিন্ন পেশার লক্ষাধিক মানুষ চট্টগ্রামে থাকেন। তাদের যাতায়াতের কষ্ট লাঘবের জন্য ভোলা জেলা ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (বিডিএফ) ভোলার জনপ্রতিনিধের সমন্বয়ে কর্ণফুলী ক্রুজ লাইন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ভোলা ও চট্টগ্রাম নৌপথে জাহাজ সার্ভিস চালু করা হয়। এ নৌপথটি চালু হওয়ায় ভোলার যাত্রীদের সুবিধা হয়েছে। 
তজুমদ্দিনের লঞ্চঘাট চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ কিরণ জানান, ভোলার তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন, মনপুরা, লালমোহনসহ ভোলাবাসীর জন্য সড়ক পথে চট্টগ্রাম যাতায়াত করা কষ্টকর ছিল। এই জাহাজটি চালু করা সরকারের একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত।
 
কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) মাহবুব আলম জানান, প্রথম দিনে যাত্রীদের অনেক সাড়া পেয়েছি। সবার সাধ্যের মধ্যে জাহাজের টিকিট মূল্য (৮০০ টাকা) করা হয়েছে। আপাতত একদিন পরপর জাহাজটি চলাচল করবে।