অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, সোমবার, ১৪ই এপ্রিল ২০২৫ | ৩০শে চৈত্র ১৪৩১


কুমিল্লায় কুমড়া চাষে লাভবান কৃষক


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬ই এপ্রিল ২০২৩ বিকাল ০৩:২৮

remove_red_eye

২২১

জেলার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কুমড়া চাষ করে ভালো লাভ পেয়েছেন কৃষকরা। লাভ পেয়ে অনেক খুশি এখানের কৃষকরা। আগামীতেও এভাবে একই সাথে দুইটি ফসল করতে চান তারা। বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের উত্তর দিঘলী, ছোট হরিপুর ও নরিনসহ বিভিন্ন গ্রামে এ দৃশ্য দেখা যায়।
ছোট হরিপুর গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বড় বড় মিষ্টি কুমড়া। অধিকাংশ কুমড়া পেকে হলুদ রঙ ধরেছে। কৃষকরা কুমড়া তুলছেন। কৃষকদের ছোট সন্তানরাও কুমড়া তোলায় বাবাকে সহযোগিতা করছেন। বেশি ওজনের কুমড়া শিশুরা তুলে আনতে পারছেন না, তবু আনন্দের সাথে জড়িয়ে ধরে টেনে টুনে স্তূপে এনে রাখছেন। কৃষকরা খেতের পাশের রাস্তায় দাঁড় করানো রিকশা ভ্যানে এনে কুমড়া রাখছেন। সেই কুমড়া নিয়ে যাবেন বাজারে। বড় কুমড়া গুলোর ওজন ১০ থেকে ১৫ কেজির মতো হবে।
ওই মাঠে কথা হয় কৃষক শফিউল্লাহর সাথে। তিনি বাসসকে বলেন, তিনি ৫০ শতক জমিতে আলু চাষ করেন। সেখানে ২৫ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে ৭০ হাজার টাকার আলু বিক্রি করেছেন। একই জমিতে আলুর বীজ লাগানোর কিছুদিন পর কুমড়ার চারা লাগান। এক মাস আগে আলু তোলার পর কুমড়া গাছ বাড়তে থাকে। সেখান থেকে এক হাজারের বেশি কুমড়া পেয়েছেন। পাইকারি প্রতিটি কুমড়া ৫০ টাকার বেশি পাবেন। এতে তার আয় হবে ৫০ হাজার টাকার বেশি। বীজ ছাড়া কুমড়া চাষে তার কোন বাড়তি খরচ হয়নি। ভালো লাভ পেয়ে খুশি শফিউল্লাহর মতো অন্য কৃষকরাও।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. গোলাম সারোয়ার বাসসকে বলেন, আমাদের পরামর্শ মতে আলুর জমিতে মিষ্টি কুমড়া লাগিয়ে ভালো ফলন পেয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এটা তাদের নিকট বোনাস ফসল। কোন বাড়তি সার, কীটনাশক দিতে হয়নি। আলুর জন্য তৈরি জমিতে তারা কুমড়ার চারা লাগিয়েছেন।

সুত্র বাসস