অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর ২০২৪ | ২৩শে আশ্বিন ১৪৩১


রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সৃষ্টি করেছিল বিএনপি


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৪ঠা জানুয়ারী ২০২০ রাত ০৯:০০

remove_red_eye

৭২৬

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। এমন অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি (জেপি) ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনীতিতে আজ সৌজন্যবোধ বিরল। দেশে রাজনীতিতে খুবই খারাপ সময় চলছে। রাজনীতি ক্রমেই পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।

তিনি বলেন, রাজনীতিকরা এখন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং মৃত্যুর সংবাদ শুনেও সেখানে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। এটি রাজনীতি ও গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এ অবস্থা থেকে আমাদের ফিরে আসতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন কিছু আসন সংকটে পড়েছিল, সে সময় আওয়ামী লীগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল জাতীয় পার্টি-জেপি। মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টিও আওয়ামী লীগের পাশে থেকে সরকার গঠনে সহায়তা করেছিল।

 

কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছিল। আজ আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমি আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টি-জেপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলতে চাই, আসুন আমরা একসঙ্গে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে কাজ করি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে বিরোধী দলকে শক্তিশালী হতে হবে। শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া শক্তিশালী গণতন্ত্র হয় না। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল। তাদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছিল। দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। ইনডেমনিটি জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। রাজনীতিতে বিভেদের দেয়াল সেখান থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল।

বিএনপির উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে বিতর্কিত করবেন না। নির্বাচনের মাঝপথে পালিয়ে যাবেন না। ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবেন।

জেপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহরে পরিণত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে। মেয়রদের সততার সঙ্গে কাজ করারও পরামর্শ দেন তিনি।

জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।