অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বুধবার, ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭ই পৌষ ১৪৩২


‘বিএনপির কারণে যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডোর উন্নয়ন হয়নি’


বাংলার কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২ই এপ্রিল ২০২২ ভোর ০৪:৪১

remove_red_eye

৩৮১

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডোর উন্নয়ন অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল। এমনকি শাখা নদীগুলোরও করিডোর উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতিবাচক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন এই উন্নয়ন করিডোর বাস্তবায়ন করতে প্রকৌশলীদের সহযোগিতা লাগবে, একই সঙ্গে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও লাগবে।’

সোমবার (১১ এপ্রিল) রাজধানী রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডোর উন্নয়ন: সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং কৌশল প্রণয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

যেকোনো কানেক্টিভটি দেশের উন্নয়নের দুয়ার খুলে দেয়, উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘যমুনা নদীর ইকোনিক করিডোর উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই দুই পাশের স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। এই করিডোর শুধু বাংলাদেশের মাঝে পণ্য পরিবহনে অবদান রাখবে, তা নয়। এই করিডোর বিদেশেও পণ্য পরিবহন করতে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় যমুনা তীরের মানুষ এখন উন্নত জীবন ও জীবিকার স্বপ্ন দেখছে।’

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘যমুনা নদী ঘিরে বাণিজ্য ও শিল্পায়নের অনেক সম্ভাবনা আছে। যমুনা নদীর ইকোনমিক করিডোর উন্নয়ন করতে পারলে রপ্তানিমুখী শিল্প গড়ে উঠবে। সেই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে যমুনা নদীর ওপর সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প চলমান আছে।’

তিনি বলেন, ‘যমুনার তীরকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে কাজে লাগাতে না পারা দুঃখজনক। যমুনা নদীর করিডোরকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এজন্য সরকার নদীশাসন ও নদী রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বন্যার ঝুঁকি কমানো ও নদীর পানিপ্রবাহ বাড়ানো, পলি ব্যবস্থাপনার কাজ চলছে।’

 

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে নদী ও বন্যা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিয়েছিলেন। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও পানি ব্যবস্থাপনা, নদী খনন, পানি নিষ্কাশন ও নদী শাসনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ১০০ বছর পরের বাংলাদেশের জন্য তিনি ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ করেছেন। সুনীল অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যমুনা করিডোর ঘিরে নেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিতে আরও গতি সঞ্চার হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ এবং রয়েল মিলিটারি কলেজ, কানাডার সংযুক্ত অধ্যাপক ড. এস এম হাবিবুল্লাহ বাহার। আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডর মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফজলুর রশিদ।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রনক আহসান।