অনলাইন সংস্করণ | ভোলা, বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪ | ১৪ই চৈত্র ১৪৩০


খলিলের লাল-সবুজের ভালোবাসা বিক্রি


লালমোহন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ই ডিসেম্বর ২০২১ রাত ১০:৪৮

remove_red_eye

৪৯৪




লালমোহন  প্রতিনিধি :  ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার আকাশে উড়ে লাল-সবুজের পতাকা। বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, মাতৃভাষা ও জাতীয় শোক দিবসের দিনে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এছাড়াও মানুষ শখ ও ভালোবাসার টানে বাড়ির ছাদে, রিকশা, সাইকেল ও গাড়ির সামনে ঝুলিয়ে রাখেন লাল-সবুজের পতাকা। আর এসব দিবসে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন এক শ্রেণির মৌসুমি বিক্রেতা। তেমন-ই এক পতাকা বিক্রেতা মাদারীপুর জেলার খবির বেপারির ছেলে খলিল বেপারি। মঙ্গলবার সকালে কাঁধে  বাঁশের লাঠিতে ছোট বড় ও মাঝারি সাইজের পতাকা ঝুলিয়ে ভোলার লালমোহনের সদর বাজারের বিভিন্ন স্থান ঘুরতে দেখা যায় তাকে।
আলাপকালে খলিল বেপারির জানান, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা থেকে পতাকা নিয়ে লালমোহনে এসেছেন তিনি। প্রায় ৭-৮ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে পতাকা বিক্রি করছেন। বিশেষ করে ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে পতাকা বিক্রি করতে বের হন তিনি। বছরের বাকি দিনগুলো তিনি ইজিবাইক চালিয়ে স্ত্রীসহ তিন সন্তানের পরিবারের খরচ জোগাড় করেন। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বরের সপ্তাহ খানেক আগ থেকে পতাকা বিক্রি শুরু করেন তিনি।  প্রতিদিন গড়ে ১৫ শত থেকে ২হাজার টাকার পতাকা বিক্রি করেন খলিল। এতে আশানুরূপ আয় না হলেও মনে আনন্দ পান বলে জানান খলিল বেপারি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে চলতে খুব ভালো লাগে। পতাকাগুলো যখন হাতে থাকে তখন একটা ভালোবাসা জন্মায় দেশের প্রতি। আর যাদের এ দেশের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা রয়েছে তাদের হাতেই তুলে দেই ‘ভালোবাসার’ লাল-সবুজের পতাকাগুলো।  
খলিল বেপারি বলেন, সাইজ অনুযায়ী পতাকার দাম নেন তিনি। ১০টাকা থেকে শুরু করে ১৫০টাকা দামের পতাকা রয়েছে তার কাছে। তবে বাচ্চাদের জন্য তৈরিকৃত ১০টাকার পতাকাটির চাহিদা বেশি। বাচ্চাদের হাতে লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিয়ে মনে প্রশান্তি পান পতাকা বিক্রেতা এ খলিল বেপারি।